ঢাকা, শনিবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২, ১০ মে ২০২৫, ১২ জিলকদ ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

পর্যালোচনার পর ‘আম’ নিয়ে সিদ্ধান্ত দেবে ইসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:৪৫, মার্চ ৯, ২০২৫
পর্যালোচনার পর ‘আম’ নিয়ে সিদ্ধান্ত দেবে ইসি

ঢাকা: দীর্ঘ নয় বছর পর ন্যাশনাল পিপিলস পার্টির (এনপিপি) ‘আম’ নিয়ে দুই পক্ষের কাড়াকাড়িতে শুনানি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দুই পক্ষের বক্তব্য পর্যালোচনা করে এখন সিদ্ধান্ত দেবে সংস্থাটি।

জানা গেছে, জাতীয় পার্টির সাবেক নেতা শওকত হোসেন নিলুর নেতৃত্বে ২০০৭ সালের ১৯ জুলাই এনপিপির আত্মপ্রকাশ ঘটে। এরপর আবেদনের ভিত্তিতে ২০০৮ সালে ‘আম’ প্রতীকে দলটিকে নিবন্ধন দেয় কমিশন। ২০১৪ সালের ১৬ আগস্ট দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তৎকালীন মহাসচিব ফরিদুজ্জামান ফরহাদকে মহাসচিব পদ থেকে বহিষ্কার করে দলটি। তার বিরুদ্ধে তারেক রহমানের পক্ষে পোস্টারে প্রচার চালানোর অভিযোগ আনা হয়। এর বছর খানেক পর ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে ফরিদুজ্জামান ফরহাদ ইসির কাছে ‘আম’ প্রতীকটি নিজেদের বলে দাবি করেন। পরে ২০১৬ সালের মে মাসে শুনানি করে নিলুর হাতেই প্রতীকটি তুলে দেয় ইসি। এর মাঝে নিলু মারা গেলে দলটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন শেখ ছালাউদ্দিন ছালু।

সম্প্রতি এনপিপির সাবেক (বহিষ্কৃত) নেতা ফরিদুজ্জামান ফরহাদ ফের ‘আম’ প্রতীকটি নিজেদের বলে দাবি করে ইসিতে আবেদন জানায়। পরে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য দুই পক্ষেরই শুনানি করে ইসি।

গত বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) শুনানি শেষে ছালাউদ্দিন ছালু সাংবাদিকদের বলেন, ইসির ওয়েবসাইটে চেয়ারম্যান হিসেবে এখনো আমার নামই আছে। কমিশন বলেছে, তারা তো একটি আবেদন দিয়েছে। এটি খণ্ডন করে আপনি একটি চিঠি দেন। তারপর যাচাই করে সিদ্ধান্ত জানাবে।

এদিকে রোববার (৯ মার্চ) শুনানি শেষে অপর পক্ষের নেতা ও দাবি উত্থাপনকারী  ফরিদুজ্জামান ফরহাদ সাংবাদিকদের বলেন, ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, আজকে আমাদের দলীয় প্রতীক নিয়ে শুনানি ছিল। ২০০৭ সালে আমাদের দল গঠন হয়। এর পরে ২০০৮ সালে আমরা আম মার্কা প্রতীক পাই। জাতীয় পার্টির সাবেক নেতা শওকত হোসেন নিলু ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকার কারণে আমরা তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছিলাম। তখনকার নির্বাচন কমিশনার আমাদের আমটা না দিয়ে নিলু সাহেবকে দিয়েছিল।

তিনি বলেন, কোর্টে আমরা গিয়েছিলাম, কোর্ট অর্ডার দিয়েছেন এটা ন্যায় সঙ্গত করার জন্য। শুনানি ছিল আমরা সবকিছু বলেছি। আশা করছি আমরা আম প্রতীক পাবো। কমিশন সব কিছু শুনেছে এবং বলেছে, আমাদের কথাগুলো বাস্তব সম্মত, কমিশনও ন্যায় বিচার করবে।

এ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব কেএম আলী নেওয়াজ বলেন, এরই মধ্যে দুই পক্ষের শুনানি সম্পন্ন হয়েছে। এখন তাদের বক্তব্য পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত দেবেন কমিশন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০২৫
ইইউডি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।