ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ চৈত্র ১৪৩১, ১৮ মার্চ ২০২৫, ১৭ রমজান ১৪৪৬

বাংলানিউজ স্পেশাল

নির্বাচন সংস্কার কমিশনের ৩২টি ধারায় ‘আপত্তি’ ইসির

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২৫
নির্বাচন সংস্কার কমিশনের ৩২টি ধারায় ‘আপত্তি’ ইসির

ঢাকা: নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের দেওয়া প্রস্তাবকে উড়িয়ে দিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে ৩২টি ধারার বিষয়ে ‘আপত্তি’ জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সংস্থাটির সচিব আখতার আহমেদ ‘নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের কতিপয় সুপারিশের বিপরীতে নির্বাচন কমিশনের মতামত বা অভিমত প্রেরণ’ শিরোনামে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি সোমবার (১৭ মার্চ) ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতির কাছে পাঠিয়েছেন।

চিঠির অনুলিপি মন্ত্রিপরিষদসচিব, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্যসচিব এবং লেজিসলেটিভ সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিবের কাছেও পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণে পৃথক কমিশন গঠন, এনআইডির জন্য পৃথক কর্তৃপক্ষ গঠন, ইসির শাস্তিসহ ৩২টি ধারায় আপত্তি জানিয়েছে ইসি।

সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব ও যা বলছে ইসি
জাতীয় নির্বাচন শেষ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ফলাফল গেজেটে প্রকাশের পূর্বে, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্বাচনের সুষ্ঠুতা, বিশ্বাসযোগ্যতা এবং গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে ‘সার্টিফাই' করে তা গণবিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশের বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছে।

কমিশন বলছে, এটি অপ্রয়োজনীয় ঘোষণা। নির্বাচন কমিশন সন্তুষ্ট হয়েই গেজেট প্রকাশ করে। প্রিজাইডিং অফিসার এবং রিটার্নিং অফিসারকে আইনানুযায়ী সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য পর্যাপ্ত ক্ষমতা দেওয়া আছে। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই গেজেট প্রকাশ করা হয়। ইসির কাছে অন্য কোনো আইনানুগ মাধ্যম নেই, যার ভিত্তিতে প্রত্যয়ন দেওয়া যাবে।

এ ছাড়া গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৩৯ অনুযায়ী, রিটার্নিং অফিসাররা ভোট গণনার পর গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্ত প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন বলে ঘোষণা করেন। রিটার্নিং অফিসারদের অনুরূপ গণবিজ্ঞপ্তিসহ অন্যান্য প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক গেজেট প্রকাশ করা হয়। কাজেই রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক অনুরূপ গণবিজ্ঞপ্তির প্রকাশের পর নতুন করে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্বাচনের সুষ্ঠুতা, বিশ্বাসযোগ্যতা এবং গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে ‘সার্টিফাই‘ করে তা গণবিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশের বিধান করা অযৌক্তিক। আবার যদি কোনো প্রিজাইডিং অফিসার বা রিটার্নিং অফিসার অন্যায় করে বা অন্যায়ের আশ্রয় নেন বলে কমিশনের কাছে প্রতীয়মান হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা কমিশনের আছে।

সংস্কার কমিশন বলেছে, নির্বাচনের সুষ্ঠুতা, বিশ্বাসযোগ্যতা এবং গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কিত নির্বাচন কমিশনের ঘোষণায় নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কোনো রাজনৈতিক দল সংক্ষুদ্ধ হলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল বা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে অভিযোগ করার সুযোগ সৃষ্টির বিধান করা ও কমিশন/আদালত কর্তৃক সর্বোচ্চ সাত কর্মদিবসের মধ্যে ওই অভিযোগ নিষ্পত্তি করার বিধান করার সুপারিশ করা হয়েছে। তবে ইসি বলছে, এই বিধান করা হলে পরাজিত রাজনৈতিক দল কর্তৃক নির্বাচনকে অহেতুক প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ সৃষ্টি হবে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৪৯ অনুযায়ী নির্বাচনের সুষ্ঠুতা চ্যালেঞ্জ করে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল (হাইকোর্ট) এর নিকট দরখাস্ত করার বিধান বিদ্যমান থাকায় অনুরূপ বিধান করা অপ্রয়োজনীয়।

সংস্কার কমিশন প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টদের নিরাপত্তা বিধানে আইন ও বিগত কমিশনের আমলে নিবন্ধনপ্রাপ্ত দলগুলোর নিবন্ধন মূল্যায়ন সাপেক্ষে বাতিলের সুপারিশ করেছে। ইসির অভিমত হলো, বিদ্যমান আইনে প্রার্থী ও এজেন্টদের সুরক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়া কোনো একটি বছরে প্রাপ্ত দলের নিবন্ধন বাতিল হলে পক্ষপাতের অভিযোগ উঠবে।

সংস্কার কমিশন নির্বাচন কমিশনের আইনি, আর্থিক ও প্রশাসনিক প্রস্তাব কোনো মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তে সংসদের প্রস্তাবিত উচ্চকক্ষের (যদি না হয়, তাহলে বিদ্যমান সংসদের অনুরূপ) স্পিকারের নেতৃত্বে একটি সর্বদলীয় সংসদীয় কমিটির নিকট উপস্থাপনের বিধান করার (সংসদীয় কমিটি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে প্রস্তাবগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রেরণ করবে) প্রস্তাব করেছে। নির্বাচন কমিশন বলছে, এই সুপারিশের ফলাফল খারাপ হবে, কারণ ‘ব্যর্থ’ শব্দটির বিবরণ/ব্যাখ্যা আপেক্ষিক। কমিশন সমূহ ‘প্রতিহিংসার’ আশঙ্কায় শক্ত অবস্থান নিতে পারবে না। অনুরূপ বিধান স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করবে। নির্বাচন কমিশনের মেয়াদকালে কমিশনার কর্তৃক শপথ ভঙ্গপূর্বক সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার কারণে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কমিশনারকে অপসারণের সুযোগ রয়েছে। কোনো নির্বাচন কমিশনার কর্তৃক দায়িত্ব পালনের ব্যর্থতার তথ্য তার সংঘটিত অপকর্মের কারণে মেয়াদ শেষে The Prevention of Corruption Act, 1947 এর ৫ ধারায় বর্ণিত ‘Criminal Misconduct’ এর অপরাধে মামলা করার বিধান বিদ্যমান থাকায় প্রস্তাবিত বিধান প্রবর্তন করা মোটেও যৌক্তিক নয়। এ ছাড়া নির্বাচনী অপরাধের মামলা দায়ের সময়সীমা রহিত করার প্রস্তাবের ফলে মামলার জট বেঁধে যাবে ও দীর্ঘসূত্রতা দেখা দেবে।

রিটার্নিং কর্মকর্তা/সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ

সংস্কার কমিশন নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করার সুপারিশ করেছে। এ দায়িত্ব পালনের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক কমিশনের কর্মকর্তা পাওয়া না গেলে প্রশাসনসহ অন্য ক্যাডার থেকে নিয়োগ করার প্রস্তাব করেছে। আর ইসি বলছে, সক্ষমতা ও সিনিয়রিটির ভিত্তিতে অনুশীলন করতে হবে।

নির্বাচন-সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম কমিশনের যৌথ সিদ্ধান্তে পরিচালিত করার বিধান করার প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ইসি বলছে, সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া বাস্তবসম্মত।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার মেয়াদ চারমাস নির্ধারিত করে এ মেয়াদকালে জাতীয় ও স্থানীয় সরকারের সকল নির্বাচন সম্পন্ন করার প্রস্তাবের বিষয়ে ইসি বলছে, স্থানীয় সরকার নির্বাচন করতে এক বছরের মতো সময় প্রয়োজন।

ভবিষ্যতে সীমানা নির্ধারণের জন্য একটি আলাদা স্বাধীন সীমানা নির্ধারণ কমিশন গঠন করার প্রস্তাবকে স্বাধীনতা খর্ব করার প্রক্রিয়া হিসেবে দেখছে ইসি।

আরও পড়ুন: সংস্কার কমিশনের অনেক সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে ইসির ক্ষমতা খর্ব হবে

এদিকে সংস্কার কমিশন জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন, ২০২৫ (প্রস্তাবিত খসড়া) প্রস্তাব করেছে। এতে বলা হয়েছে, পার্বত্য এলাকার তিন জেলাকে তিনটি সুরক্ষিত সংসদীয় আসন হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। অন্যান্য জেলায় যেখানে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বসবাস আছে, সেক্ষেত্রে ওই নৃ-গোষ্ঠীকে বিভক্ত না করে অর্থাৎ একটি ইউনিট হিসেবে বিবেচনা করে একই সংসদীয় আসনের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এ ছাড়া মেহেরপুর, পিরোজপুরসহ ছোট জেলাগুলোর জনসংখ্যা বিবেচনায় নিয়ে একটি আলাদা জনসংখ্যা কোটা (smaller district populatin quota) বিবেচনা করে ১০ শতাংশের অধিক (বাড়িয়ে) বিচ্যুতি না করে ওইসব জেলার সীমানা নির্ধারণ করতে হবে। বৃহত্তর জেলার জনসংখ্যা বিবেচনায় নিয়ে একটি আলাদা জনসংখ্যা কোটা (greater district population quota) বিবেচনা করে ১০ শতাংশের অধিক (বাড়িয়ে) বিচ্যুতি না করে ওইসব জেলার সীমানা নির্ধারণ করতে হবে। তবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে এ বিচ্যুতি ১৫ শতাংশের অধিক করা যাবে না।

এই প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন বলছে, এই প্রস্তাব যৌক্তিক না; কারণ, দেশের বিভিন্ন স্থানে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কাছ থেকেও সংরক্ষিত আসনের দাবি আসতে পারে। এতে অনেক বেশি সংখ্যক আসনের সীমানা কাটাছেঁড়া করতে হবে; সংখ্যাটি ২০০ ছাড়িয়ে যাবে বলে অনুমেয়। এলাকাভিত্তিক প্রতিনিধিত্ব বিঘ্নিত হবে। ক্রমাগতভাবে শহর এলাকায় আসন সংখ্যা বাড়তে থাকবে। প্রশাসন ও উন্নয়ন কার্যক্রম বিকেন্দ্রীকরণের সাথে এই ধারণা সাংঘর্ষিক। ইসি মনে করে, ভৌগোলিক অবস্থা ও অবস্থান এবং জনসংখ্যা, ভোটার সংখ্যা, প্রশাসনিক সুবিধা ও সীমানা বিবেচনায় আসন বিন্যাস হওয়া যৌক্তিক। এ ক্ষেত্রে ভোটার সংখ্যায় ‘যতদূর সম্ভব’ সামঞ্জস্য আনার চেষ্টা করতে হবে।

এ ছাড়াও এনআইডির জন্য পৃথক কমিশন গঠন, প্রার্থীকে অযোগ্য ঘোষণার বিধান, মনোনয়নপত্র, নির্বাচনী অপরাধে শাস্তির বিধান, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন, ইসির আর্থিক স্বাধীনতা, ইসির অপরাধের শাস্তি, ইসির আচরণ বিধি, ইসি সচিবালয় আইন সংশোধন সংক্রান্ত প্রস্তাবগুলোকেও হিতে বিপরীত হতে পারে বলে মনে করছে ইসি।

নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ তার চিঠিতে একটি পর্যবেক্ষণও দিয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনাররা সংবিধানের তফসিল অনুযায়ী শপথবদ্ধ। তারা ‘আইন অনুযায়ী ও বিশ্বস্ততার সহিত পদের কর্তব্য পালন’, ‘বাংলাদেশের প্রতি অকৃত্রিম বিশ্বাস ও আনুগত্য’, ‘সংবিধানের সংরক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তা বিধান’ এবং ‘ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে থেকে কাজ’ করতে শপথ নিয়েছেন। এই মহৎ শপথ রক্ষায় সততা, একনিষ্ঠতা এবং নিরপেক্ষতাই হচ্ছে প্রধানতম গুণাবলি। স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এবং ভাবমূর্তি বিবেচনায় মনোনীত নির্বাচন কমিশনারদের ওপর আস্থা রাখা জরুরি।

এতে আরও বলা হয়েছে, দেশের কোনো নাগরিকই আইনের ঊর্ধ্বে নন। কমিশনের সদস্যদের কেউ শপথ ভঙ্গ করলে বা অসদাচারণ করলে মেয়াদকালে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে এবং মেয়াদ পরবর্তী সময়ে দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব। এখানে আলাদাভাবে কারাদণ্ডের মতো বিধান রাখা এই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের সম্মান ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করবে। এ ছাড়া এই বিধান অপরাপর সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে না বলেই অনুমেয়।

নির্বাচন কমিশন মনে করে, বিগত সময়ে বিতর্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য রাজনৈতিক অসততা এবং প্রতিষ্ঠানসমূহের রাজনীতিকরণই ছিল প্রধান কারণ। তাই সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের পূর্বশর্তই হবে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত প্রতিষ্ঠান বিনির্মাণ। নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সাহায্য নিয়ে থাকে। ভালো নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য এসব প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানের নিরপেক্ষতা, জবাবদিহিতা এবং পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।

অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর প্রধান উপদেষ্টা তার প্রথম ভাষণে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন গঠনের ঘোষণা দেন। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারকে প্রধান করে গঠিত নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন তাদের সংস্কার প্রস্তাব সম্প্রতি সরকারের কাছে জমা দেয়। ঐকমত্য কমিশন সেই প্রস্তাবের ওপর দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে সংস্কার প্রস্তাব চূড়ান্ত করবে। পরবর্তীতে যা বাস্তবায়ন করবে সরকার।

সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে ইসির বিস্তারিত আপত্তি পড়তে ক্লিক করুন

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২৫
ইইউডি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।