ঢাকা, রবিবার, ২৯ চৈত্র ১৪৩১, ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

প্রথমবারের মতো মাইনরিটি দলকে নিবন্ধন দিল ইসি, নাম বিএমজেপি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০২৫
প্রথমবারের মতো মাইনরিটি দলকে নিবন্ধন দিল ইসি, নাম বিএমজেপি

ঢাকা: দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মাইনরিটি সম্প্রদায়ের কোনো দলকে নিবন্ধন দিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দলটির নাম বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি), প্রতীক হচ্ছে রকেট।

বুধবার (০৯ এপ্রিল) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসি সচিব আখতার আহমেদ দলটির নেতাদের হাতে নিবন্ধন সনদ তুলে দেন৷

পরে বিএমজেপির সভাপতি সুকৃতি কুমার মণ্ডল সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৮ সালে নিবন্ধন পেতে আবেদন করেছিলাম। বিশেষ কারণে নিবন্ধন ওই সময় পাইনি৷ বাছাইয়ে ১০টি দলের মধ্যে আমরা ছিলাম। কিন্তু ইসি দুটি দলকে নিবন্ধন দেয়। আমরা প্রতিবাদ জানাই।

তিনি বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর হাইকোর্টে রিট করেছিলাম। ১১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট নিবন্ধন দেওয়ার আদেশ দেন। আজকে কাঙ্ক্ষিত নিবন্ধন সনদ পেলাম।

সুকৃতি কুমার আরও বলেন, আজ স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। ৫৪ বছরে আমরা রাজনীতির স্বাদ গ্রহণ করতে যাচ্ছি। তিন কোটির মতো মাইনরিটি সম্প্রদায়ের মানুষ আছে। এখন আমরা রাজনীতি করার অধিকার পেলাম। আমরা রাজনৈতিকভাবে সচেতন। ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত আমাদের সমর্থন আছে। আমাদের প্রতীক হচ্ছে রকেট।

ইসি সচিব স্বাক্ষরিত নিবন্ধন সনদে বলা হয়েছে- গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট -এর মাননীয় হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন নম্বর- ১০৪৫৩/২০২৪ এর সূত্রে বিগত ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে প্রদত্ত রায় ও আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান কার্যালয়: ৪৩/এ, ইন্দ্রিরা রোড, তেজগাঁও, শের-ই বাংলা নগর, ঢাকা-১২১৫ -এ অবস্থিত বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টিকে (বিএমজেপি)
রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন করিয়াছে।

নিবন্ধন নম্বর ৫৫। দলটি রাজহাঁস প্রতীক চাইলেও ইসি সেটি দেয়নি বলে জানান বিএমজেপি সভাপতি সুকৃতি।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মাইনরিটিদের কোনো দল এবারই প্রথম নিবন্ধন পেল। এ নিয়ে ইসিতে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা দাঁড়াল ৫০টি। এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এবি পার্টি, নুরুল হক নুরের গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি), মাহমুদুর রহমানের নাগরিক ঐক্য এবং গণসংহতি আন্দোলন নিবন্ধন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। দলগুলোর প্রায় প্রতিটিই আবেদনের পাঁচ থেকে ছয় বছর পর আদালতের আদেশে নিবন্ধন পেয়েছে। এর আগে ২০১৮ সালেও শর্ত পূরণ না করার কারণ দেখিয়ে ৭৬টি দলের কোনোটিকেই নিবন্ধন দেয়নি ইসি। পরে ২০১৯ সালে ববি হাজ্জাজের দল এনডিএম আদালতের আদেশে নিবন্ধন পেয়েছিল।

নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালু হয়। এ পর্যন্ত ৫৪টি দল ইসির নিবন্ধন পেলেও পরবর্তীতে শর্ত পূরণ, শর্ত প্রতিপালনে ব্যর্থতা এবং আদালতের নির্দেশে পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিল করে ইসি। দলগুলো হলো- জামায়াতে ইসলামী, ফ্রিডম পার্টি, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, পিডিপি ও জাগপা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০২৫
ইইউডি/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।