ঢাকা, সোমবার, ৯ ভাদ্র ১৪৩২, ২৫ আগস্ট ২০২৫, ০১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

নির্বাচন ও ইসি

সীমানা নির্ধারণে নিরপেক্ষতার সঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করেছি: সিইসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩:৪৩, আগস্ট ২৪, ২০২৫
সীমানা নির্ধারণে নিরপেক্ষতার সঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করেছি: সিইসি নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে শুনানিতে বক্তব্য দেন সিইসি

ঢাকা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন বলেছেন, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণে আমরা পেশাদারিত্বের সঙ্গে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার চেষ্টা করেছি।

রোববার (২৪ আগস্ট) নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে শুনানিকালে তিনি এ কথা বলেন।

সিইসি বলেন, আমরা পেশাদারিত্বের সঙ্গে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার চেষ্টা করেছি। আইন অনুযায়ী খসড়া সীমানা নিয়ে দাবি-আপত্তির সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আপনাদের আবেদনগুলো আমরা বিবেচনায় নিয়েছি।

২৫ আগস্ট খুলনা অঞ্চলের ৯৮টি, বরিশাল অঞ্চলের ৩৮১টি ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের ২০টি দাবি-আপত্তির শুনানি হবে। ২৬ আগস্ট ঢাকা অঞ্চলের ৩১৬টি দাবি-আপত্তির শুনানি হবে। ২৭ আগস্ট রংপুরের সাতটি, রাজশাহীর ২৩২টি, ময়মনসিংহের তিনটি, ফরিদপুরের ১৮টি এবং সিলেট অঞ্চলের দুটি দাবি-আপত্তির শুনানি হবে।  

গত ১০ আগস্ট পর্যন্ত মোট ৮৩টি আসনের সীমানা নিয়ে এক হাজার ৭৬০টি দাবি ও আপত্তি জমা পড়ে ইসিতে৷ এগুলোই নিষ্পত্তি করে চূড়ান্ত সীমানা প্রকাশ করবে ইসি।

গত ৩০ জুলাই ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে খসড়া প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এতে ভোটার সংখ্যার সমতা আনতে গিয়ে গাজীপুর জেলায় একটি আসন বাড়িয়ে ছয়টি করা হয়। আর বাগেরহাটের আসন চারটি থেকে কমিয়ে তিনটির প্রস্তাব করা হয়।

এছাড়া পরিবর্তন আনা হয় মোট ৩৯টি আসনে। এগুলো হলো-পঞ্চগড় ১ ও ২, রংপুর ৩, সিরাজগঞ্জ ১ ও ২, সাতক্ষীরা ৩ ও ৪, শরিয়তপুর ২ ও ৩, ঢাকা ২; ৩; ৭; ১০; ১৪ ও ১৯, গাজীপুর ১; ২; ৩; ৫ ও ৬, নারায়ণগঞ্জ ৩; ৪ ও ৫, সিলেট ১ ও ৩, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২ ও ৩, কুমিল্লা ১; ২; ১০ ও ১১, নোয়াখালী ১; ২; ৪ ও ৫, চট্টগ্রাম ৭ ও ৮ এবং বাগেরহাট ২ ও ৩ আসন।  

ইসির প্রকাশিত ওই খসড়ার তালিকার ওপর গত ১০ আগস্ট পর্যন্ত আপত্তি আহ্বানও করা হয়।

আগে বাগেরহাট-১ মোল্লারহাট-ফকিরহাট-চিতালমারি, বাগেরহাট-২ বাগেরহাট সদর এবং কচুয়া, বাগেরহাট-৩ রামপাল এবং মোংলা, বাগেরহাট-৪ মোড়েলগঞ্জ এবং সরণখোলা, এ চারটি আসন ছিল বাগেরহাটে।

খসড়ায় বাগেরহাট-১ আসনে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। বাগেরহাট সদর, কচুয়া, রামপাল নিয়ে বাগেরহাট-২ আসন এবং মোংলা, মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলা নিয়ে বাগেরহাট-৩ আসন প্রস্তাব করা হয়েছে।

সীমানা পুনর্নির্ধারণ নিয়ে নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার সাংবাদিকদের বলেছেন, ৬৪ জেলার গড় ভোটার নির্ধারণ করা হয়েছে চার লাখ ২০ হাজার ৫০০। এটা ধরে জেলায় একটি আসন বাড়ালে তা গাজীপুরে হবে। এ গড়ের কম বাগেরহাটে একটি কমালে সমতা চলে আসে। দুই জেলার আসনই এফেক্টেড হয়েছে। আর কোথাও ঝামেলা নেই। ৩৯টি আসনে অ্যাডজাস্টমেন্ট রয়েছে।

এসআই/ইইউডি


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।