ঢাকা: আগামী রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) থেকে নির্বাচনী সংলাপ শুরু করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেই প্রথমে বসবে সংস্থাটি।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আমরা বেশ কয়েকটা কাজ এগিয়েছি এবং আগাচ্ছি। আমরা আমাদের যে জনসম্পৃক্ততার বিষয়টা আছে আমরা বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারস যারা আছেন যেমন সিভিল সোসাইটি, শিক্ষাবিদ, নারী নেতারা, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা, রাজনৈতিক দল, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, জুলাই যোদ্ধা এদের সঙ্গে আমরা পর্যায়ক্রমিকভাবে আমাদের আলোচনাগুলো শুরু করব।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে সংলাপ শুরু হবে এবং একটু গ্যাপ দিয়ে করতে হবে। কারণ হচ্ছে যে ছুটি আছে, পূজার ব্যাপার আছে। এ সব কাজে আমরা শিডিউলটা করিনি। তবে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে আমরা শুরু করব।
ইসি সচিব বলেন, আমরা মূলত শুরু করতে যাচ্ছি সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং শিক্ষক সমাজের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে। এখন এটা আমরা ২৮ সেপ্টেম্বর করব। ধারাবাহিকভাবে তারপরে শিডিউলটা করব। কেন? অনেকগুলো বিষয় আছে। আমি একটু আগেই বলেছি যে, পূজার ছুটি আছে ও আমাদের সাপ্তাহিক ছুটি আছে। সেগুলোকে বিবেচনা নিয়ে স্ট্যাগার্ড ওয়েতে আমরা এটা করবো।
তিনি আরও বলেন, আমরা নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা যে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিলাম ভেটিংয়ের জন্য, সেটা আমরা গতকাল পেয়েছি। সেই সঙ্গে আমাদের প্রতীকের যে ফাইলটাও পাঠিয়েছিলাম সেটাও আমরা ফেরত পেয়েছি। কাজেই রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের কার্যক্রমটা যেটা চলমান আছে সেটার সঙ্গে যে প্রতীকের একটা সমন্বয়ের ব্যাপার ছিল সেটা আমরা এক ধাপ এগিয়ে গেছি।
ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, এখন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের নথিটা এখনো পর্যন্ত পর্যালোচনার পর্যায়ে আছে। যখনই এটা চূড়ান্ত হবে জানিয়ে দেব। আর কন্ডাক্ট রুল এবং অন্যান্য যে বিষয়গুলো আমাদের আছে সেগুলো পর্যায়ক্রমিকভাবে কন্ডাক্ট রুলের সঙ্গে আরপিওর সংশোধনেরও একটা সম্পর্ক আছে। আরপিওর সংশোধনের প্রস্তাবটা এখন আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ বিভাগে অপেক্ষমাণ আছে। সেটাও আমরা আশা করি, খুব অচিরেই পেয়ে যাব। এছাড়া প্রবাসী ভোটার সেটারও কার্যক্রমও এগিয়ে যাচ্ছে।
ইইউডি/আরআইএস