ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

কে হচ্ছেন ৪৯২তম উপজেলা পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যান

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৫৩ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৯
কে হচ্ছেন ৪৯২তম উপজেলা পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যান শায়েস্তাগঞ্জ উপেজলা পরিষদ নির্বাচনের তিন প্রার্থী, ছবি: সংগৃহীত

হবিগঞ্জ: দেশের ৪৯২তম এবং সর্বশেষ প্রতিষ্ঠা পাওয়া উপজেলা হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ। তবে ওলিপুর শিল্প এলাকাকে ঘিরে গাজীপুরের পরেই এর গুরুত্ব বিবেচনা করা হয় স্থানীয়ভাবে। হবিগঞ্জে অন্য ৮টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন হলেও বাকি ছিলো শায়েস্তাগঞ্জ।

কে হচ্ছেন দেশের সর্বশেষ উপজেলা পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যান, এনিয়ে আলোচনা-সমালোচনার শেষ ছিলো না। সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আগামী ১৮ জুন পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ উপজেলার নির্বাচন।

প্রথমবার নির্বাচিত চেয়ারম্যানের কর্মকাণ্ডের ওপরই নির্ভর করবে নতুন এ উপজেলার উন্নয়ন আর ভবিষ্যত অগ্রগতি। এমনটাই মনে করছেন, সাধারণ ভোটার এবং স্থানীয় সচেতন মহল। সব দিক থেকেই যোগ্য প্রার্থীকে দেখে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করতে চান তারা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন হবিগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল, জেলা বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং নূরপুর ইউনিয়ন পরিষদে টানা সাতবার নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী বেলাল এবং হবিগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহমদ খান।

স্থানীয় তামান্না চৌধুরী নামে এক ভোটার বাংলানিউজকে বলেন, প্রথমবার আমাদের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এমন একজন প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে চাই, প্রথম চেয়ারম্যানের অনুকরণেই যাতে পরবর্তী চেয়ারম্যানরা কাজ করেন।  

শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার জহুর চান বিবি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ জালাল উদ্দিন রুমী বলেন, শায়েস্তাঞ্জ উপজেলাটি সর্বকনিষ্ট হলেও দেশের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা এটি। কারণ এখানে গড়ে উঠেছে শিল্পাঞ্চল। রয়েছে ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা। এ উপজেলায় সরকার ঘনিষ্ঠ এবং পজেটিভ একজন প্রার্থীকে নির্বাচিত করা প্রয়োজন। যে শিক্ষাকে প্রাধান্য দিয়ে এলাকার উন্নয়ন তরান্বিত করবে।  

আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল বলেন, আমি সব সময়ই জনগণের সঙ্গে ছিলাম। দীর্ঘদিন ধরে এলাকার মানুষের সব প্রয়োজনে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছি। এখনো ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছি। বর্তমান সরকারের আমলে শায়েস্তাগঞ্জে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আমি নির্বাচিত হলে এ উন্নয়ন কাজকে তরান্বিত করতে কাজ করে যাবো।

স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আলী আহমদ খান বলেন, একাধিকবার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে মানুষের সেবা করেছি। সুখ-দুঃখে পাশে থেকেছি। ভবিষ্যতেও শায়েস্তাগঞ্জবাসীর সেবা করতে চাই। সেজন্যই আমি প্রার্থী হয়েছে।

প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী বেলালের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় মোট ভোটার প্রায় ৪৬ হাজার। আগামী ১৮ জুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি চলছে।  

২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তেজগাঁওয়ে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস-সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) বৈঠকে ৪৯২তম উপজেলা হিসেবে শায়েস্তাগঞ্জকে অনুমোদন দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০০৪৫ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৯
ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।