ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট দিলেন সিইসি নূরুল হুদা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২০
সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট দিলেন সিইসি নূরুল হুদা ভোট দিতে কেন্দ্রে সিইসি কেএম নূরুল হুদা। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে ভোট প্রয়োগ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা।

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টা ৫মিনিটে রাজধানীর উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টরের আইইএস স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের কলেজ ভবনের ৮ নম্বর কক্ষে ভোট প্রয়োগ করেন তিনি।

এটি উত্তর সিটির এক নম্বর ওয়ার্ডের কেন্দ্র।

কেএম নূরুল হুদা এ ওয়ার্ডেরই বাসিন্দা। ভোটপ্রয়োগ শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কথা বলবেন।

ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এবার প্রথমবারের মতো বিভক্ত ঢাকার দুই সিটিতে একযোগে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। আর এটিই ইভিএমে সবচেয়ে বড় নির্বাচন।

ভোটে বিএনপি ও আওয়ামী লীগসহ নয়টি দলের ১৩ জন প্রার্থী মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া কাউন্সিলর পদে প্রায় সাড়ে সাতশ প্রার্থী রয়েছেন মাঠে। ফলাফল গেজেটে আকারে প্রকাশ পর্যন্ত কোনো ধরনের মিছিল, মশাল মিছিল, মোটরসাইকেল মিছিল, শোডাউন করা যাবে না। বাইক বন্ধ থাকবে ২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। আর সব যন্ত্রযান বন্ধ থাকবে ১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।

ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখা জানিয়েছে, উত্তরে মেয়র পদে ৬ জন, ৭৫টি সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ২৫১ জন এবং ২৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ৭৭ জন অর্থাৎ তিন পদে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ৩৩৪ জন।

মেয়র প্রার্থীরা হলেন- বিএনপির তাবিথ আউয়াল, আওয়ামী লীগের আতিকুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শেখ মো. ফজলে বারী মাসউদ, পিডিপির শাহীন খান, এনপিপির মো. আনিসুর রহমান দেওয়ান ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির আহম্মেদ সাজ্জাদুল হক।

অন্যদিকে ডিএসসিসিতে মেয়র পদে ৭ জন, ৫৪টি সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ৩৩৫ জন ও ১৮টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ৮২ জন অর্থাৎ ৪২৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছে।

মেয়র পদে সাত প্রার্থী হলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস, বিএনপির ইশরাক হোসেন, জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, ইসলামী আন্দোলনের মো. আবদুর রহমান, এনপিপি'র বাহরানে সুলতান বাহার, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. আকতার উজ্জামান ওরফে আয়াতুল্লা ও গণফ্রন্টের আব্দুস সামাদ সুজন।

ঢাকার দু’সিটিতে ২ হাজার ৪৬৮টি ভোটকেন্দ্র ও ১৪ হাজার ৪৩৪টি ভোটকক্ষ রয়েছে। এরমধ্যে ঢাকা উত্তর সিটিতে ১ হাজার ৩১৮টি ভোটকেন্দ্র ও ৭ হাজার ৮৫৭টি ভোটকক্ষ এবং দক্ষিণ সিটিতে এক হাজার ১৫০টি ভোটকেন্দ্র ও ৬ হাজার ৫৮৮টি ভোটকক্ষ রয়েছে।

গত ২২ ডিসেম্বর ঢাকার দু’সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিলো গত ৩১ জানুয়ারি। মনোনয়নপত্র বাছাই ২ জানুয়ারি, প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ছিলো ৯ জানুয়ারি। ভোটগ্রহণের তারিখ ৩০ জানুয়ারি থাকলেও ওইদিন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজা থাকায় তা পরিবর্তন করে ১ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়। গত ১০ জানুয়ারি প্রচার শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার প্রচার শেষ হলো। মোট ২১ দিন প্রচারের সুযোগ পান প্রার্থীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১১১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২০
টিএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।