ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন

পৌর নির্বাচন

ব্যালট পেপার ছাপানো নিয়ে বিপাকে ইসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৫
ব্যালট পেপার ছাপানো নিয়ে বিপাকে ইসি

ঢাকা: প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপানোর কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে আদালতের আদেশে অনেকে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ায় বিপাকে পড়েছে নির্বাচন আয়োজনকারী এ সংস্থাটি।

কেননা, প্রার্থী সংখ্যা বেড়ে গেলে ব্যালট পেপার আবারও নতুন করে ছাপাতে হবে।
 
১৩ ডিসেম্বর ছিলো পৌর নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেন ১৪ ডিসেম্বর।

এক্ষেত্রে ২৩৪টি পৌরসভার ৯২৩ জন মেয়র প্রার্থী ও ১ হাজার ১২২ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। তাদের জন্য ইতিমধ্যে ব্যালট পেপার ছাপানোর কাজ শুরু করেছে ইসি।
 
সূত্র গুলো জানিয়েছে, নির্বাচনের আর মাত্র নয়দিন বাকি। এরইমধ্যে মেয়র ও কাউন্সিলর মিলিয়ে প্রায় ১৯৪ জন আদালতের আদেশ নিয়ে এসেছেন। ফলে তাদেরও নতুন করে প্রতীক বরাদ্দ করতে হচ্ছে। ব্যালটের আকার বড় করা ছাড়া আর উপায় থাকছে না ইসির।
 
ইসির আইন শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত প্রায় ৫০০টির মতো রিট আবেদন হয়েছে। তাই প্রার্থিতা পাওয়ার আদেশ আরো বাড়তে পারে। এদিকে রিটার্নিং কর্মকর্তারা অনেকের মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করায় তারাও তাদের মনোনয়পত্র গ্রহণের আদেশ নিয়ে এসেছেন।

এক্ষেত্রে ওই সব সম্ভাব্য প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে বৈধ হলে তাদের জন্যও ব্যালট পেপার ছাপাতে হবে। তাই অনেক পৌরসভায় ছাপানো ব্যালট পেপার বাতিল করে নতুন করে ছাপানোর প্রয়োজন পড়তে পারে।
 
আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে কুমিল্লার দাউদকান্দি পৌরসভায় মেয়র পদের প্রার্থী শাহজাহান মিয়া ও নাজমা আক্তারের মনোনয়পত্র ইতিমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে।

রোববার (২০ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশন তাদের মনোনয়নপত্র রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বাছাই করার নির্দেশ দিয়েছে। এক্ষেত্রে ওই প্রার্থী দু’জন বৈধতা পেলে তাদের জন্যও ব্যালট পেপার ছাপাতে হবে।
 
ইসির উপ-সচিব পর্যায়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, যেসব পৌরসভায় প্রার্থী সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে বা রিট হয়েছে, সেসব পৌরসভা নির্বাচনের ব্যালট পেপার মুদ্রণের কাজ স্থগিত করা হয়েছে। এরইমধ্যে যেখানে ছাপানোর কাজ শেষ হয়েছে যদি সেই পৌরসভায় কোনো মেয়র প্রার্থী প্রার্থিতা ফিরে পায়, তবে ওই পৌরসভায় আবারো নতুন করে ব্যালট পেপার ছাপাতে হবে। কেননা, মেয়র পদের ব্যালট পেপারে সংসদ নির্বাচনের মতো প্রার্থীর নামের পাশে প্রতীক থাকে।

তবে কাউন্সিলর পদের জন্য তেমন সমস্যা হবে না বলেও জানান ওই কর্মকর্তা। কেননা, কাউন্সিলর পদের ব্যালট পেপারে প্রার্থীর নাম থাকে না।
 
আইন শাখার যুগ্ম সচিব শাহজাহান বাংলানিউজকে বলেন, আদালত কোনো আদেশ দিলে তা মানতেই হবে। এক্ষেত্রে ব্যালট ছাপানো হলেও কিছু করার নেই। নতুন করে আবারও ছাপাতে হবে।
 
এদিকে অন্য এক কর্মকর্তা বলেন, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সুপ্রীম কোর্টে শীতকালীন অবকাশ চলছে। কেবল জরুরি ক্ষেত্রে অবকাশকালীন বেঞ্চ থাকে। তাই এ সময় প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেওয়া সংক্রান্ত আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করাও প্রায় অসম্ভব। কেননা, এতগুলো মামলার জন্য সময়ও কম।

আবার আপিল করলে এবং তা ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে নিষ্পত্তি না হলেও কমিশনকে ওইসব প্রার্থীর জন্য ব্যালট পেপার ছাপাতে হবে। অন্যদিকে মামলা লড়তে গেলে ইসির ব্যয়ও বেড়ে যাবে। তাই আপিল করাটা এ মুহূর্তে সঠিক সিদ্ধান্ত হবে না।
 
দেশে প্রথমবারের মতো স্থানীয় কোনো নির্বাচনে দলীয়ভাবে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। এতে মেয়র পদে দলীয় এবং কাউন্সিলর পদে আগের মতই নির্দলীয়ভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে ৩ হাজার ৫৫৮টি কেন্দ্রে প্রায় ৭২ লাখ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। ৩ ডিসেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময়। সে সময় ১৩ হাজার ৬৮৯টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিলো।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৫
ইইউডি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।