ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন

যশোর থেকে মাহমুদ মেনন

মানবিক গুণের প্রার্থী হলে বেশি ভোট

মাহমুদ মেনন, হেড অব নিউজ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৫
মানবিক গুণের প্রার্থী হলে বেশি ভোট ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

যশোর থেকে: এপারে রামনগর গ্রাম, ভোট নেই। ওপারে যশোর পৌরসভার মুড়লি, ভোট আছে।

মাঝখানে সড়ক। সেই সড়ক ঘেঁষে মুড়লি অংশে রামনগরের বাসিন্দা শাহাদত মিয়ার চায়ের দোকান। সকাল সাতটায় সে দোকানে জমজমাট আড্ডা। চায়ের আড্ডা।

চায়ের কাপে ভোটের ঝড়ের পূর্ণ একটা ছবি পাওয়া গেলো।   যারা বসে তাদের কারো ভোট আছে, কারো নেই। তবে আলোচনায় সবাই শামিল।

ভোট নেই তো কি হয়িছে, মতটা তো দিতে পারি। সবাই আমরা এক জায়গার বাসিন্দা। ভোট আসলি পরে কথা তো বলতিই হবি।

যাদের ভোট আছে তাদেরও এতে সম্মতি। যখন এগের ভোট আসবি তখনতো আমরাও কথা বলতি পারবো, কথা বইলবো, তারা কেনে বইলবে না।

কথা হচ্ছে, অনেক কথা, ভোট নিয়ে কতশত কথা, কত যে মত। চায়ের দোকানের এক-একেকটি আড্ডায় উঠে আসছে ভোটের হাল-হকিকত।

শাহাদতের চায়ের দোকানটি নিরপেক্ষ। সকাল থেকে বেলা আটটা নাগাদ শতকাপ চা বানিয়েছেন। দিনভর হয়তো আরো হাজার কাপ বানাবেন।

কারণ এখানে সব দলের, পক্ষের কর্মী সমর্থকদের আনাগোণা। ভোটের কথা হয় কিন্তু বাড়াবাড়ি নয়। যে যার মত দাও, দোকানের চা খাও, পয়সা দাও, আড্ডা দাও। কিন্তু ঝগড়া-ঝাটি, কথা কাটাকাটি নয়, এটাই ষাটোর্ধ্ব শাহাদত মিয়ার থিওরি।

তবে বিপাক এড়াতে, অপেক্ষাকৃত তরুণদের খুব একটা ঘেঁষতে দেননা এই দোকানি।

বয়ষ্কদের আড্ডাই দেখা গেলো এখানে। কেউ কৃষিকাজ করেন, কেউ সরকারি-বেসরকারি চাকুরে, কেউ ব্যবসায়ী, কেউ দিনমজুর কেউ হয়তো অন্য কোনো পেশার। এরা সবাই এখানে এক।

ভোট কেমন হবে, সে প্রশ্নে প্রায় সবারই মত, এক কথায় জমজমাট। দলীয় প্রতীকে ভোট হচ্ছে, আর সে কারণেই উৎসাহটা বেশি।

তবে কে কোন মার্কায় ভোট দেবে, তা নিয়ে অন্যের মাথাব্যাথা নেই। সব পক্ষ আসছে, ভোট চেয়ে যাচ্ছে। কিন্ত ভোটারের চিন্তা মনে মনে। সময় মতো ভোটটা দিয়ে দেবে।

কেউ যে এখনই মত প্রকাশ করছেন না, তা নয়। একজনতো ঘোষণাই দিলেন, আমি নৌকা। ‘বাপ-দাদা চৌদ্দগুষ্ঠী নৌকা। আমি যার যাব কনে!’ শুনে আরেকজনের শান্ত প্রতিক্রিয়া, 'ও তাই বুঝি। '

ভোটে কেমন প্রার্থী পছন্দ তা নিয়ে একজনের মত, এই ধরুন, আমরা তাগেরই খুঁজি যারা মানুষের কথা ভাবে। মানবতার গুণ আছে। এমন প্রার্থী পেলে পার্টি বিচার না করে মানুষ ভোট দেয়। এমন ভোটারের সংখ্যা ৫ থেকে ১০ শতাংশ। কখনো কখনো সেই ভোটটাই ফ্যাক্টর হয়ে ওঠে।

বেলা যত বাড়ছে শাহ‍াদত মিয়ার চায়ের দোকান ততই জমে উঠছিলো। তার মধ্যেও জানালেন, তখনো ভোটের লোকেরা আসতে শুরু করেনি।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৫
এমএমকে

** প্রতীক দেখে সিল দেবে, মিছিল ভোটের ঐতিহ্য
** আউশের চিড়া ও তার কারিগরের গল্প
** প্ল্যাটফর্মে বস্তা-বস্তা ডাক, ডিজিটালে চাপ কমছে
** সাড়ে ৩ ঘণ্টা বিলম্বের কথা জানতেও দেড় ঘণ্টা বিলম্ব

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।