ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন

পৌর নির্বাচন

মধ্যরাতেই শেষ হচ্ছে প্রচারণা, ভোটগ্রহণে প্রস্তুত ইসি

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৫
মধ্যরাতেই শেষ হচ্ছে প্রচারণা, ভোটগ্রহণে প্রস্তুত ইসি

ঢাকা: আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনের সব ধরনের প্রচারণা আজ সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) দিনগত মধ্যরাতে (রাত ১২ টায়) বন্ধ হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রার্থীরা ঘরোয়া সভা থেকে শুরু করে কোনো ধরনের প্রচারণাই আর চালাতে পারবে না।


 
নির্বাচনী আচরণ বিধিতে ভোটগ্রহণ শুরুর ৩২ ঘণ্টা আগেই প্রচারণা বন্ধের বিধান রয়েছে। সেক্ষেত্রে সোমবার দিনগত রাত ১২টা থেকেই এই ৩২ ঘণ্টা সময় গণনা শুরু হবে।
 
আগামী ৩০ ডিসেম্বর (বুধবার) দেশের ২৩৪ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন। এতে মেয়র পদে ৯ শতাধিক এবং কাউন্সিলর পদে ১ হাজার ২০০ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে ১৯টি দল মেয়র পদে প্রার্থী দিয়েছে।
 
এদিকে নির্বাচনকে ঘিরে ইতিমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রায় সোয়া দুই কোটি ব্যালট পেপারসহ সব ধরনের উপকরণও পাঠানো হয়েছে পৌর এলাকাগুলোতে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নির্বাচনী কর্মকর্তাদেরও প্রস্তুতি সম্পন্ন।
 
আগামীকাল মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছানো হবে ব্যালট পেপার, ব্যালট বাক্সসহ নির্বাচনী উপকরণ।
 
অন্যদিকে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেও মাঠে নামানো হয়েছে ৭০ হাজারের বেশি ফোর্স। এছাড়া ভোটের দিন ভোটকেন্দ্রে মোতায়েন থাকবে আরও ৭০ হাজার ফোর্স। বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ, কোস্টগার্ড ও ব্যাটালিয়ন আনসার- সব মিলিয়ে দেড় লাখের মতো ফোর্স নিয়োজিত থাকবে ভোটের দিন।
 
এছাড়া স্থানীয় প্রশাসনকে ইতিমধ্যে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ধরতে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিএনপির ১ হাজর ১২১, আওয়ামী লীগের ৫৬১, জামায়াতের ২১১, জাতীয় পার্টির ৪, পিসিপি’র ১, জেএসএস’র ১০ এবং অন্যান্য ১২১ জন সন্ত্রাসী মাঠে সক্রিয় রয়েছে। এদের আশ্রয়দাতা বা গডফাদার রয়েছেন ৬৩৭ জন। এদের মধ্যে বিএনপির ৩১২, আওয়ামী লীগের ২১১, জামায়াতের ৭৭, পিসিপি’র ১, জেএসএস’র ১ ও অন্যান্য ৩৫ জন। যারা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য হুমকি। যারা সংখ্যালঘু ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোটপ্রদান থেকে বিরত রাখতে পারেন।

এছাড়া এসব চিহ্নিত সন্ত্রাসী ভোট ছিনতাই ও সহিংসতা ঘটাতে পারে বলেও আশঙ্কা করছে সংস্থাটি। তবে বিশেষ দৃষ্টি রয়েছে উত্তরবঙ্গের দিকে।
 
সন্ত্রাসীদের কাছে পাইপগান, রিভলবার, শুটারগান, বন্দুক, পিস্তল, কাঁটা রাইফেলসহ বিভিন্ন অস্ত্র রয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
 
এ বিষয়ে ইসি সচিব সিরাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের প্রস্তুতি শেষ। এবার ভোটগ্রহণের অপেক্ষা।
 
বাংলাদেশ সময়: ১২০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৫
ইইউডি/আরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।