ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন

বগুড়ার ৯ পৌরসভায় চলছে ভোট গণনা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৫
বগুড়ার ৯ পৌরসভায় চলছে ভোট গণনা ছবি: আরিফ জাহান/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বগুড়া: বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে বগুড়ার ৯টি পৌরসভার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে।

ভোটগ্রহণ শেষে এখন ভোট গণনার কাজ চলছে।

বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে জেলার ৯টি পৌরসভার নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়।

নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, জেলার ৯টি পৌরসভায় মোট ৩ লাখ ৭০ হাজার ৯১১ জন ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে, পুরুষ ভোটার রয়েছেন ১ লাখ ৮৩ হাজার ১৫ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৮৭ হাজার ৯৬ জন। সংরক্ষিতসহ মোট ৯৩টি ওয়ার্ডে মোট ১৭৩টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৭৬টি বুথে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

বগুড়া পৌরসভার নির্বাচন কর্মকর্তা মতিয়ুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, এ পৌরসভায় মোট ২ লাখ ৪৮ হাজার ৫৪ জন ভোটার রয়েছেন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২২ হাজার ৪০৫ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ২৫ হাজার ৬৪৯ জন। দুপুর ২টা নাগাদ প্রায় ৬৫ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।

গাবতলী পৌরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ইউনুচ আলী বাংলানিউজকে জানান, এ পৌরসভায় মোট ১৫ হাজার ৪৬৬ জন ভোটার রয়েছেন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৭ হাজার ৭১৭ জন ও নারী ভোটার ৭ হাজার ৭৪৯ জন। বেলা ২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত প্রায় ৭০ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।

কাহালুর নির্বাচন কর্মকর্তা সুদীপ কুমার রায় বাংলানিউজকে জানান, এই পৌরসভায় মোট ৯ হাজার ৮৫৮ জন ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৪ হাজার ৯২৭ জন ও নারী ভোটার ৪ হাজার ৯৩১ জন। বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ৮০ শতাংশের ওপরে ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।

নন্দীগ্রামের নির্বাচন কর্মকর্তা আছিয়া খাতুন বাংলানিউজকে জানান, এই পৌরসভায় মোট ১৩ হাজার ৮৪১ জন ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ হাজার ৬৫৮ জন ও নারী ভোটার ৭ হাজার ১৮৩ জন। বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী প্রায় ৮২ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।

শেরপুরে নির্বাচন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, এই পৌরসভায় মোট ২০ হাজার ৬৪১ জন ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১০ হাজার ১০৩ জন ও নারী ভোটার ১০ হাজার ৫৩৮ জন। এর মধ্যে মোট ৭৮ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।

ধুনট পৌরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোনাতলা উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলমগীর বাংলানিউজকে জানান, এই পৌরসভার মোট ৯ হাজার ৯১৬ জন ভোটার রয়েছেন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৪ হাজার ৯০৬ জন ও নারী ভোটার ৫ হাজার ১০ জন। এরমধ্যে প্রায় ৮৩ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।

সারিয়াকান্দি উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা আশরাফুল হক বাংলানিউজকে জানান, এই পৌরসভার মোট ১৩ হাজার ৭৬৮ জন ভোটার রয়েছেন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ হাজার ৮৫৪জন ও নারী ভোটার ৬ হাজার ৯১৪ জন। তবে কত শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত তা তিনি জানাতে পারেননি।

শিবগঞ্জ উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা একেএম জাকির হোসেন বাংলানিউজকে জানান, এই পৌরসভার মোট ১৬ হাজার ১৯১ জন ভোটার রয়েছেন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৮ হাজার ২৪ জন ও নারী ভোটার ৮ হাজার ১৬৭ জন। এরমধ্যে প্রায় ৮৫ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।

আদমদীঘি উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা আয়েশা খাতুন বাংলানিউজকে জানান, আদমদীঘি উপজেলাধীন সান্তাহার পৌরসভায় মোট ২৩ হাজার ১৭৬ জন ভোটার রয়েছেন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১১ হাজার ৪২১ জন ও নারী ভোটার ১১ হাজার ৭৫৫ জন। এরমধ্যে প্রায় ৭৬ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।

এসব পৌরসভায় মেয়র পদে ৩৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এরমধ্যে আওয়ামী লীগের ৯ জন, বিএনপির ৯ জন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ৩ জন, বিএনপির বিদ্রোহী ৩ জন, জামায়াত, ইসলামী এক্যজোট, ইসলামী আন্দোলন ও জাসদের ১ জন করে ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ২ জন এবং স্বতন্ত্র ৩ জন প্রার্থী রয়েছেন। এছাড়া কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৪৭০ জন প্রার্থী। এর মধ্যে পুরুষ ৩৫২ জন ও নারী ১১৮জন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৫
এমবিএইচ/আইএ/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।