ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন

রাজশাহীর ১৬ ইউনিয়নে শেষ ধাপের ভোট শুরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৭ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০১৬
রাজশাহীর ১৬ ইউনিয়নে শেষ ধাপের ভোট শুরু

রাজশাহী: রাজশাহীর তিন উপজেলার ১৬ ইউনিয়নের ১৪৪টি ভোটকেন্দ্রে ইউপি নির্বাচনের শেষ ধাপের ভোট গ্রহণ শুরু করেছে ইসি।

 

শনিবার (৪ জুন) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন ভোটাররা।

এদিন সকাল থেকেই নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো।

নির্বাচনকে ঘিরে এরই মধ্যে রাজশাহী জেলার পবা, মোহনপুর ও বাঘা উপজেলার ভোটকেন্দ্রগুলোতে উৎসবমুখর পরিবেশ দেখা গেছে।

পবার বড়গাছি ইউনিয়নের পুঠিপাড়া স্কুল কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা মনোয়ারা বেগম জানান, গত কয়েকদিন ধরে তীব্র গরম পড়ছে। সকাল ১০টা বাজতেই বাইরে বের হওয়া দায়। তাই সকাল সকাল ভোট দিতে চলে এসেছি।

একই কেন্দ্রে কথা বলেন রিজিয়া হক। সংসারের সব কাজই করতে হয় নারীদের। এজন্য দিনের শুরুতেই ভোট দিতে পারলে গৃহস্থালির কাজ-কর্মে সুবিধা হয়। এছাড়া সকালে ভিড় কম থাকায় তাড়াতাড়ি ভোট দেওয়া যায়, বললেন এই গৃহবধূ।

রাজশাহীর পুলিশ সুপার (এসপি) নিশারুল আরিফ বাংলানিউজকে জানান, ভোটগ্রহণ উপলক্ষে উপজেলাগুলোতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, রোববার (৫ জুন) ভোর ৬টা পর্যন্ত এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা বহাল থাকবে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নির্বাচনী মাঠে দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া কেউ অপরাধ করলে তাকে তাৎক্ষণিক সাজা দিতে মাঠে আছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

রাজশাহী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, তিন উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের ১৪৪টি ভোটকেন্দ্রে সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত  কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

পবা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, উপজেলার মোট ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ৭টিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে সীমান্ত জটিলতায় উপজেলার হরিয়ান ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন শেষ ধাপেও হচ্ছে না।

পবার ৭ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৪০ হাজার ৯১৫ জন। এ উপজেলায় ভোটকেন্দ্র ৬৩টি। এর মধ্যে ৪৫টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেগুলোতে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

বাঘা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুজিবুল হক জানান, উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে কেবল আড়ানী, বাউসা এবং নবগঠিত চকরাজাপুরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আর সীমান্ত জটিলতায় বাজুবাঘা, গড়গড়ি, পাকুড়িয়া ও মনিগ্রামে নির্বাচন হচ্ছে না। এখানে ৩ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৫৭৪ জন।

মোহনপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মশিউর রহমান জানিয়েছেন, উপজেলার ৬ ইউনিয়নেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উপজেলায় মোট ভোটকেন্দ্র ৫৬টি। আর মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ১০ হাজার ৩১০ জন। এর মধ্যে ৫৬ কেন্দ্রের মধ্যে ৪২টিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে সেগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা গ্রহণ করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৫ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০১৬
এসএস/জিসিপি/এটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।