সুর মানুষকে মোহিত করে। কিছু সময়ের জন্য হলেও ভুলিয়ে দেয় সব দুঃখ যন্ত্রণা।
শচীন দেব বর্মন, রামকুমার প্রমুখের সুরের বৃষ্টিতে সিক্ত দর্শকেরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকেন পরম মুগ্ধতায়, নড়তেও যেন ভুলে যান তারা। এই মুগ্ধতা সৃষ্টি করেছিল যার কণ্ঠ তিনি শহীদ খোন্দকার টুকু। কানাডা প্রবাসী ব্যবসায়ী এবং কণ্ঠশিল্পী।
‘কবি এবং কবিতা’র আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই সংগীত সন্ধ্যায় টুকু’র একক সংগীতানুষ্ঠান ছাড়াও উদ্বোধন করা হয় তার গাওয়া রবীন্দ্রসংগীতের অ্যালবাম ‘তুমি যে চেয়ে আছো আকাশ ভরে’ এবং মোড়ক উন্মোচন করা হয় তার লেখা নতুন উপন্যাস ‘ভূল সত্য’-এর।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আয়োজনটিকে ঋদ্ধ করে তোলেন দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদ ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। ‘কবি এবং কবিতা’ সম্পাদক কবি শাহীন রেজা’র সভাপতিত্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক আন্দালিব রাশদী, সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান জিয়াউল হক খোন্দকার, বিশিষ্ট সাংবাদিক নাজমুল হক নান্নু, বিশিষ্ট ভাস্কর ও নারী উদ্যোক্তা নাজনীন কামাল সুপ্তী, কণ্ঠশিল্পী রোকাইয়া হাসিনা নিলী, সাবেক সরকারি কর্মকর্তা এলাহী খান, কবি ফওজিয়া খোন্দকার ইভা এবং শিল্পীপত্মী কানিজ ফাতিমা জলি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সাংস্কৃতিক বিকাশই একটি রাষ্ট্র ও সমাজের পরিপূর্ণতা নিশ্চিত করে। যে জাতি তার সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ ও বেগবান করে তুলতে না পারে সে জাতি ব্যর্থতার অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়।
তিনি শহীদ খোন্দকার টুকু’র ‘ভুল সত্য’ উপন্যাসের চরিত্রগুলোকে সামনে এনে বলেন, জীবন সত্যি বিচিত্রময়। সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যে ঘূণ তা কীভাবে আমাদের খেয়ে নিচ্ছে, তা টুকু এই উপন্যাসের মধ্যে দিয়ে আমাদের সামনে হাজির করেছে।
সংগীত আয়োজনে রজনীকান্তের ‘তুমি নির্মল করো মঙ্গল করে’ প্রার্থনা সংগীত দিয়ে শুরু করে শহীদ খোন্দকার টুকু একে একে ১৪টি গান পরিবেশন করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য, ‘বধু তোমায় করবো রাজা’, ‘এমনও যামিনী মধুরও চাদিনী’, ‘তুমি এসেছিলে পরশু’, ‘শোনগো দখিনও হাওয়া’, ‘কাদের কুলের বউগো তুমি’ প্রভৃতি।
শিল্পীর অপূর্ব গায়কীতে দর্শকেরা মুগ্ধতার আবেশে হারিয়ে যান। পুরোনো দিনের এ সমস্ত জনপ্রিয় গান বর্তমান প্রজন্মের কাছেও যে গ্রহনীয় হতে পারে এ আয়োজনটির মধ্য দিয়ে যেন তা আবারও প্রমাণিত হলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২৩
এমজেএফ