ঢাকা, রবিবার, ১৯ মাঘ ১৪৩১, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২ শাবান ১৪৪৬

বিনোদন

অভিনয় জীবনের স্মৃতিচারণ করলেন ‘নাট্যজন’ মির্জা ফখরুল

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৫
অভিনয় জীবনের স্মৃতিচারণ করলেন ‘নাট্যজন’ মির্জা ফখরুল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দেশের এই পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবীদ এক সময় শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত ছিলেন।

এই তথ্য প্রায় সবার জানা। তবে এবার জানা গেল তার জীবনের এক অজানা অধ্যায়।

এক সময় ঠাকুরগাঁওয়ের সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গেল (৩১ জানুয়ারি) প্রচারিত জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই তথ্য উঠে এসেছে।  

‘আপনি এক সময় ঠাকুরগাঁওয়ের প্রাচীন নাট্য সমিতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, নাট্য নির্দেশক, সু-অভিনেতা ছিলেন। যা অনেকের কাছে অজানা, সেসময়ের উল্লেখযোগ্য স্মৃতির কথা যদি বলতেন?’

হানিফ সংকেতের এমন প্রশ্নে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘ঠাকুরগাঁওয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য অনেক পুরানো। রাজা অষ্টম এডওয়ার্ডের অভিষেক উপলক্ষে এই নাট্য সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। যে কারণে ওই সময় থেকে ঠাকুরগাঁওয়ে নাট্য চর্চা শুরু হয়েছিল। একজনের নাম না বললে আমার জন্য অন্যায় করা হবে, উনিও দ্বিতীয় প্রজন্ম ছিলেন ফনীদী ভূষণ পালিদ। উনি ছিলেন অসাধারণ সৃজনশীল মানুষ, নাটক এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে। ছাত্রজীবন থেকে ঠাকুরগাঁওয়ে নাটকের সঙ্গে আমি জড়িত, এই ফণী পালিদের হাতে আমার হাতেঘড়ি। ’ 

এরপর হানিফ সংকেত প্রশ্ন করেন- ‘সংস্কৃতি জগৎ ছাড়াও এক সময় আপনি শিক্ষকতাও করেছেন, পরবর্তীতে যুক্ত হয়েছেন রাজনীতির সঙ্গে। এক সময়ের গুণী নাট্যজন, শিক্ষক এবং রাজনীতিবীদ- এই তিনটি বিষয়ের মধ্যে কোনটি আপনার কাছে বেশি উপভোগ্য?’  

এমন প্রশ্নে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ভাষ্য, ‘নিঃসন্দেহে সাংস্কৃতিক জগৎটাই বেশি উপভোগ্যের বিষয়। বিশেষ করে বাংলাদেশের সামগ্রিক যে পরিস্থিতি- রাজনীতি পেক্ষাপটের মধ্যে আমাদের সময়টা ছিল অতান্ত্য চমৎকার, যেখানে আপনি তৃপ্তি লাভ করতে পারবেন। ’

শুধু সাংস্কৃতিক অঙ্গন নয়, ক্রীড়া অঙ্গনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘ঠাকুরগাঁওয়ে ক্রীড়া জগতেও সবসময় আমি মাঠে থাকতাম। একজন ক্রিকেটার এবং অর্গানাইজারও থাকতাম আমি। ’

হানিফ সংকেতের এক প্রশ্নে সেই সময় আর বর্তমান সময়ের মানুষের মধ্যে মেলবন্ধনের পার্থক্য নিয়ে এই রাজনীতিবীদ বলেন, ‘এটা একেবারেই প্রায় চলে গেছে বলা যায়। আমি এই সময়টাকে বলি- একটা নষ্ট সময়। ’

খ্যাতিমান চিত্রনায়ক রহমান (আবদুর রহমান) ছিলেন সম্পর্কে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মামাতো ভাই। এই চিত্রতারকা ও ঢাকাই চলচ্চিত্রের নবাব’খ্যাত অভিনেতা আনোয়ার হোসেন সঙ্গেও মঞ্চে অনেক নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। বিষয়টিকে ‘সৌভাগ্য’ বলেই করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।  

তার কথায়, ‘তাদের সঙ্গে অভিনয় করার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। নাটকটি পরিচালনা করার সৌভাগ্যও আমার হয়েছিল। ’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আরও একটি অসাধারণ গুণের কথা উঠে এসেছে ইত্যাদির এবারের পর্বে। এই রাজনীতিবীদ বেশ ভালো কবিতাও আবৃত্তি করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘দুঃসময়’ কবিতার কয়েক লাইন আবৃত্তি করেও শুনিয়েছেন দর্শকদের জন্য।  

একজন জনপ্রতিনিধির কী কী গুণ থাকা উচিৎ সে বিষয়েও হানিফ সংকেতের প্রশ্নে উত্তর দিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার মতে তিনটি গুণ থাকা উচিৎ। এরমধ্যে রয়েছে- জনগনকে বুঝার ক্ষমতা, স্বপ্ন এবং সততা।

সবশেষে ‘কেমন বাংলাদেশ দেখতে চান?’ হানিফ সংকেতের এই প্রশ্নে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘একটা পরিচ্ছন্ন, আনন্দময়, প্রেমময়, সৃষ্টিশীল এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ দেখতে চাই। যদি গণতন্ত্র চর্চা করা যায় তাহলে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২৫
এনএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।