প্রায় তিন দশকের দাম্পত্য জীবনের পর হঠাৎ করেই স্ত্রী সায়রা বানুর সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়ে চমকে দিয়েছিলেন এ আর রহমান। এরপর বেশ কিছুদিন সংবাদের শিরোনামে ছিলেন এই দম্পতি।
যদিও এ আর রহমান এবং সায়রা বানু বরাবর চুপ থাকতেই চেয়েছিলেন। তবে মানুষের সমালোচনার মুখে আগেই নিজের মতামত তুলে ধরেছিলেন সায়রা বানু। এবার বিচ্ছেদের প্রায় ছয় মাস পর বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করা লোকদের বিষয়ে এক সাক্ষাৎকারে কথা বললেন এ আর রহমান।
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেককেই ছাঁকনির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। সে ঈশ্বর হোন আর পৃথিবীর ধনী ব্যক্তি, কারও ছাড় নেই। তাহলে আমি আর এমন কে?’
যত খ্যাতি বেড়েছে, ততই শান্ত হতে শিখে গিয়েছেন এ আর রহমান। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ঘৃণার বদলে বরাবরই শান্তিকে বেছে নিয়েছেন।
বিচ্ছেদের খবরের পর এ আর রহমানকে নিয়ে সামাজিকমাধ্যমে নানা ট্রল শুরু হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে অস্কারজয়ী এই সুরকারের ভাষ্য, আমি যদি কারো পরিবার সম্পর্কে কিছু বলি, তাহলে কেউ আমার পরিবার সম্পর্কেও কিছু বলবে। আর আমরা, ভারতীয় হিসেবে, এই বিশ্বাস করি। কারোরই অপ্রয়োজনীয় কথা বলা উচিত নয় কারণ সবারই বোন, স্ত্রী এবং মা আছে। এমনকি আমার পরিবার সম্পর্কে কেউ নোংরা মন্তব্য করলে পাল্টা আমি ঈশ্বরকে বলি, ‘ক্ষমা করে দিও এবং তাদের সঠিক পথে পরিচালিত করুন। ’
১৯৯৫ সালে এ আর রহমান ও সায়রা বানুর বিয়ে হয়। দেখাশোনা করেই নাকি বিয়ে করেছিলেন তারা। কিন্তু দীর্ঘ ২৯ বছর তারা একসঙ্গে কাটিয়েছেন। তাদের সংসারে খাতিজা, রহিমা ও আমিন তিন সন্তানের জন্ম হয়েছে। ইতোমধ্যেই মেয়ে খাতিজার বিয়েও হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২৫
এনএটি