ঢাকা: চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস বলেন, আমি রাজনীতি বুঝি না, রাজনীতি করতেও চাই না। আমি অভিনয় শিল্পী, অভিনয়কে ভালোবাসি।
রোববার (১৩ জুলাই) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর ভাটারা থানার এনামুল হক নামে এক ব্যক্তিকে হত্যাচেষ্টার মামলায় জামিন শুনানিকালে চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস আদালতে এ কথা বলেন।
মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান ১০ হাজার টাকা বন্ডে মামলার প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
গত ২ জুন হাইকোর্ট তাকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন দেন। এরপর গত ১০ জুলাই হাইকোর্টের আদেশ মোতাবেক সিএমএম আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিননামা দাখিল করেন।
আজ অপু বিশ্বাস আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ পূর্বক জামিন আবেদন করেন। শুনানিকালে মুখে মাস্ক ও বোরকা পরে এজলাসে আসেন তিনি।
অপু বিশ্বাসের পক্ষে তার আইনজীবী আব্দুল মান্নান খান জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন৷ রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর শামসুদ্দোহা সুমন জামিনের বিরোধিতা করেন।
শুনানির একপর্যায়ে আদালত অপু বিশ্বাসের বক্তব্য জানতে চান। এ সময় তিনি কোনো কথা বলবেন না বলে জানান।
তবে শুনানিকালে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে অপু বিশ্বাস হাসতে থাকেন। এ সময় পাশ থেকে আইনজীবীরা বলতে থাকেন, অপু বিশ্বাস ফ্যাসিস্ট হাসিনার সহযোগী। টাকার বিনিময়ে মঞ্চে স্টেজে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে এগিয়ে দিত।
তখন অপু বিশ্বাস আদালতের অনুমতি নিয়ে কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, আমি একজন অভিনেত্রী, আমি অভিনয়কে ভালোবাসি। অভিনয় করার জন্য অনেক কিছু করতে হয়েছে। আমি রাজনীতি বুঝি না। রাজনীতি করতেও চাই না।
এ সময় আইনজীবীরা উত্তেজিত হয়ে বলেন, আপনি এমপি হতে চেয়েছিলেন। তখন অপু বিশ্বাস বলেন, আমি ওই সময় খারাপ অবস্থায় ছিলাম। আমার একটা বাচ্চা আছে।
শুনানি শেষে আদালত অপু বিশ্বাসের ১০ হাজার টাকা বন্ডে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন।
একই মামলার আরেক চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়াকে গত ১৮ মে গ্রেপ্তার হন আরেক চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া। গ্রেপ্তারের পর সারাদেশে আলোচনা-সমালোচনা হয়। এরপর গত ২০ মে এ মামলায় আদালত থেকে জামিন পান তিনি।
জানা যায়, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে এনামুল হক নামে এক ব্যক্তিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ভাটারা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
হত্যাচেষ্টার ওই মামলায় আসামি করা হয় অপু বিশ্বাস, আশনা হাবিব ভাবনা, নুসরাত ফারিয়া, জায়েদ খানসহ ১৭ জন তারকাকে।
এছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের সংশ্লিষ্ট ২৮৩ জন ওই মামলার আসামি। মামলায় এসব অভিনেতা-অভিনেত্রীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগের অর্থের যোগানদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
কেআই/এনএটি