রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় শোকে বিহ্বল গোটা দেশ। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ জনে দাঁড়িয়েছে।
নিজের ফেসবুক পোস্টে বাঁধন লেখেন, এই ঘটনাকে আমি ব্যক্তিগতভাবে খুব গভীরভাবে অনুভব করছি। এই সড়কটিই আমার প্রতিদিনের রুট। এই পথ দিয়েই আমি আমার মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যাই। তার স্কুল ঘটনাস্থলের খুব কাছেই। ভাগ্য ভালো যে এখন তাদের গ্রীষ্মকালীন ছুটি চলছে। কিন্তু এই ঘটনাটি আমাকে মানসিকভাবে এতটাই নাড়া দিয়েছে যে, আমার নিজের অনুভূতিগুলোও ঠিকভাবে প্রকাশ করতে পারছি না।
তিনি লেখেন, আমি যখন দূর থেকে শুধু ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করেই এমন বিপর্যস্ত বোধ করছি, তখন যারা এই ভয়াবহতার শিকার হয়েছে, তাদের বা তাদের বাবা-মায়ের যন্ত্রণার কথা কল্পনাও করতে পারছি না। এই ভয়াবহতা ভাষায় প্রকাশ করার মতো কিছু নয়।
বাঁধন আরও লেখেন, এই নিষ্পাপ শিশুগুলো সকালে স্কুলে গিয়েছিল একদম প্রতিদিনকার মতো। ওরা ভাবতেও পারেনি, সেটাই তাদের জীবনের শেষ দিন হবে। ওদের স্কুল থেকে ঘরে ফিরে আসার কথা ছিল নিরাপদে। কিন্তু তার বদলে ওরা ফিরেছে না-ফেরার দেশে। আর যারা বেঁচে গেছে, তারা জীবনের শেষদিন পর্যন্ত এই মর্মান্তিক স্মৃতি আর ট্রমা বয়ে বেড়াবে যার গভীরতা আমরা কল্পনাও করতে পারি না।
এই ঘটনায় নিহতদের জন্য প্রার্থনা করেন বাঁধন। তিনি লেখেন, আল্লাহ যেন নিহতদের শান্তি ও রহমত দান করেন এবং তাদের পরিবারকে এই অসহনীয় শোক সইবার শক্তি দেন। জীবন কতটা অনিশ্চিত এই ঘটনা আবারও আমাকে সেই সত্যটা সবচেয়ে যন্ত্রণাদায়ক উপায়ে মনে করিয়ে দিল। আল্লাহ যেন তার অশেষ করুণা বর্ষণ করেন, নিহতদের জান্নাত দান করেন এবং আহত ও তাদের পরিবারের জন্য শান্তি ও আরোগ্য বর্ষণ করেন।
এনএটি