এই প্রজন্মের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানিয়া বৃষ্টি। মডেলিং দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু, এরপর অভিনয়ের মধ্য দিয়ে নাটকে থিতু হন।
তবে সম্প্রতি প্রথমবারের মতো তানিয়া বৃষ্টি তার নিজের মনের মতো একটি গল্পে মনের মতো চরিত্রে অভিনয় করেছেন। আওরঙ্গজেব’র রচনায় ও মেধাবী নাট্যনির্মাতা তুহিন হোসেনের পরিচালনায় ‘জয়িতার দিনরাত্রি’ নাটকে তিনি নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। যেখানে জয়িতার নানা চ্যালেঞ্জ উঠে এসেছে। কাজটি করতে গিয়ে নিজের স্ট্রাগল অনুভব করেছেন এই অভিনেত্রী।
চরিত্রটির বিষয়ে গণমাধ্যমে তানিয়া বৃষ্টি জানান, তার ব্যক্তিজীবন ও জয়িতার মধ্যে অনেকটাই মিল রয়েছে। তার কথায়, জয়িতা যতটা চড়াই উতরাই পার করেছে হয়তো তানিয়া বৃষ্টি সেটার মুখোমুখি হয়নি। তবে বর্তমানে ক্যারিয়ারের যে জায়গায় অবস্থান করছেন এ জন্য অনেক কিছু পার করে আসতে হয়েছে। অনেক ধরনের স্ট্রাগল আমি করেছি।
তবে নিজেকে ভাগ্যবান দাবি করে এই অভিনেত্রী বলেন, আমি এক দিকে ভাগ্যবান যে- একটা প্রতিযোগিতা থেকে আসা একটা মেয়ে। সে কারণে যে সাপোর্ট পেয়েছি সেটা আমার জন্য আশীর্বাদ। এ কারণে হয়তো কোনও ছোট চরিত্র করতে করতে আজকের এই জায়গায় আসতে হয়নি। তারপরও অনেক প্ররিশ্রম করতে হয়েছে।
কখনও হেরে যাননি উল্লেখ করে তানিয়া বৃষ্টি বলেন, এমনও হয়েছে আমার কাজের জন্য ডেট নিয়েছে, আমি অন্য কাজ এটার জন্য বন্ধ করে রেখিছি। কিন্তু হঠাৎ করে বলছে কাজটি হবে না। কারণ হয়তো নায়ক চাচ্ছে না বা অন্য কিছু! এমন অনেক কিছুর মুখোমুখি হয়েছি কিন্তু হেরে যাইনি।
যোগ করে আরও বলেন, এমনও কিছু আছে যা পরিবারের সঙ্গে শেয়ার করা যায় না। এমনও হয়েছে ওয়াশরুমে গিয়ে কল ছেড়ে দিয়ে কান্না করেছি, যাতে কেউ না শুনে। ওই সময়টা পার করে আজকে আমি এই অবস্থানে। এ কারণে জয়িতার চরিত্রটি করতে গিয়ে আমার স্ট্রাগল অনুভব করতে পেরেছি।
এদিকে ইতোমধ্যেই তানিয়া বৃষ্টি নাজমুল রনির নির্দেশনায় ‘পার্সেল’ নামের একটি নাটকের কাজ শেষ করেছেন। এ ছাড়াও তিনি অনন্য ইমন, মহিন খানের নির্দেশনাতেও আরও দুটি নাটকের কাজ শেষ করেছেন।
এনএটি