রূপালি পর্দার অভিনেত্রী চম্পা এখন কাজ করেন বেছে বেছে। তার এই কম কাজের তালিকায় এবার যুক্ত হলো বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশন প্রযোজিত ধারাবাহিক নাটক ‘উজান গাঙের নাইয়া’।
এই নাটকে সুলতানা চরিত্রে অভিনয় করেছেন চম্পা। তিনি খুব ভালো মানুষ হলেও তার স্বামী খুবই লোভী। এক পর্যায়ে স্বামীর আচরণের প্রতিবাদ জানান সুলতানা। এরপর ভুল বুঝতে পেরে নিজেকে সংশোধন করে সে।
এবারের ‘উজান গাঙের নাইয়া’য় উঠে এসেছে উপকূলীয় অঞ্চলের জেলে পরিবারগুলোর জীবন সংগ্রামের গল্প। দ্বন্দ্ব, সংঘাত ও ভালোবাসার এই গল্পের মধ্যে মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক বিভিন্ন বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে এতে।
চম্পা মনে করেন, একজন শিল্পীর সামাজিক দায়বদ্ধতা অনেক। আর ‘উজান গাঙের নাইয়া’য় কাজ করে সেই দায়বদ্ধতা পালনের সুযোগ পেয়েছেন বলে মনে করেন এই গুণী অভিনেত্রী। তিনি বলেন, ‘মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা মানুষকে সঠিক পথটি দেখাতে পারি। এ ক্ষেত্রে একজন শিল্পীর ভাবমূর্তি ও গ্রহণযোগ্যতাও বড় ভূমিকা রাখতে পারে। সাধারণ একজন মানুষের মুখ থেকে শোনার চেয়ে একজন প্রিয় শিল্পীর কাছ থেকে কিছু শুনলে মানুষ সেটিকে আরও বেশি বিশ্বাস করে। ’
চম্পা জানালেন, নাটকটির বক্তব্যই সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করেছে তাকে। তিনি বলেন, ‘বিবিসি’র সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ সবসময়ই ছিলো। আর ‘উজান গাঙের নাইয়া’য় কাজ করতে গিয়ে বিবিসির গোছালো কাজের ধরণ খুব ভালো লেগেছে। এতে অল্প বয়সে বিয়ে ও মা হওয়ার নেতিবাচক দিক এবং একজন নারীর অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার প্রয়োজনীয়তার দিকগুলো তুলে ধরা হয়েছে। আমার নিজের বিশ্বাসের সঙ্গে এই নাটকের বক্তব্যের মিল খুঁজে পেয়েছি। ’
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে শুধু কাজই নয়, শিল্পী থেকে শুরু করে অন্যান্য কর্মীদের প্রতি যে দায়িত্বশীলতা ছিলো সেটাও লক্ষণীয়। বিবিসির সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে গৌতম ঘোষ, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, সন্দীপ রায়ের মতো পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করার কথা মনে পড়েছে আমার। ’
উজান গাঙের নাইয়া’ বিবিসি আগমনীর (বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশন, বাংলাদেশের হেল্থ প্রজেক্ট) একটি অংশ এবং নাটকটি তৈরি হচ্ছে যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার আর্থিক সহায়তায়।
বাংলাদেশ সময় : ১৯৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৫