আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অভিনেত্রী ববিতা এখন আর অভিনয় করছেন না। তার অভিনীত নতুন ছবি ‘পুত্র যখন পয়সাওয়ালা‘ মুক্তি পাচ্ছে ১৬ জানুয়ারি।
বাংলানিউজ : ‘পুত্র যখন পয়সাওয়ালা’ ছবিতে কেমন দেখা যাবে আপনাকে?
ববিতা : এখানে ইমনের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি। গ্রামবাংলার মায়েদের মতো ছেলেকে কষ্ট করে পড়ালেখা শেখানোর জন্য ঢাকায় এসে ছেলের জন্য কষ্ট কওে যান তিনি। মা ও ছেলের নিবিড় সম্পর্ককে ঘিরেই ছবিটির কাহিনী। আর নারগিস আক্তারের পরিচালনাও প্রশংসনীয়।
বাংলানিউজ : ছবিটির কাজ হয়েছিলো অনেকদিন আগে। কোনো ঘটনার কথা মনে পড়ে?
ববিতা : একটা ঘটনা মনে আছে। এ ছবিতে চরিত্রের প্রয়োজনে আমার ত্বক কালো দেখানো হয়েছে। এজন্য আমাকে দৃশ্যধারণের আগে দুই-তিন ঘণ্টা সাজগোজ করে কালো বানানো হয়। কাজ শেষে সেই রূপসজ্জা ওঠাতে আমার ঘণ্টাখানেক সময় লাগতো।
বাংলানিউজ : ‘পুত্র যখন পয়সাওয়ালা’ কি আপনার অভিনীত শেষ ছবি?
ববিতা : হ্যাঁ। যদি আর কোনো নতুন ছবিতে কাজ না করি, এটাই হবে আমার অভিনীত শেষ ছবি।
বাংলানিউজ : আর কাজ করতে চান না কেনো?
ববিতা : পুতুলখেলার বয়স থেকে অভিনয় করছি। গত কয়েক মাসে চুক্তিবদ্ধ হওয়া অনেক ছবির সম্মানী ফিরিয়ে দিয়েছি কাজ করবো না বলে। কারণ কাজ করে এখন আর আগের মতো আনন্দ পাই না।
বাংলানিউজ : এখন সময় কাটে কীভাবে?
ববিতা : কিছুদিন আগে হজ্ব করে ফিরেছি। এরপর থেকে নিয়মিত নামাজ আদায় করছি। পাশাপাশি কোরআন শরীফ পড়ছি। কোরআন শেখা হয়নি আমার। তাই গুলশানে একজনের কাছে শিখছি। আর পাখি পোষা আমার শখ। শেখা আর পোষা নিয়েই আমার সময় কাটছে।
বাংলানিউজ : কী কী পাখি আছে আপনার বাসায়?
ববিতা : আমার ময়না পাখি আছে একটা। আমার ডাক নাম তো পপি, বাসায় সারাক্ষণ ময়না পাখিটা বলে ‘পপি কই’ এবং আমার ছেলে অনিকের কথা বলে- ‘অনিক তো নাই, অনিক কই’। আর বাসা থেকে বের হলে আমাকে বলে- ‘খোদা হাফেজ পপি। ’ এর বাইরে আমার অস্ট্রেলিয়ান ঘুঘু পাখি আছে। রোজ ভোরে তার ডাকে ঘুম ভাঙে আমার।
বাংলানিউজ : আপনার ছেলে অনিক তো বাইরে, আপনি এরমধ্যে দেশের বাইরে যাবেন?
ববিতা : অনিকের সঙ্গে আমার ফোনে এবং স্কাইপে সারাদিনই কথা হয়। এখন তো শীত, গ্রীষ্মে কানাডায় ওর কাছে যাওয়ার ইচ্ছে আছে।
বাংলাদেশ সময় : ১৬১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৫