ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

শরীরে ক্যান্সার নিয়েই মঞ্চে সুমন, আবারও অস্ত্রোপচার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০১৫
শরীরে ক্যান্সার নিয়েই মঞ্চে সুমন, আবারও অস্ত্রোপচার সুমন

ভালোবাসা মানুষকে এ উচ্চতায়ও পৌঁছে দেয়! শরীরে ক্যান্সার, কেমোথেরাপির ধকল, পায়ের আঙুলে ইনফেকশন, হাঁটতে পারছেন না, চলতে হচ্ছে ক্র্যাচে ভর দিয়ে, তারপরও সংগীতশিল্পী সুমন মঞ্চে উঠেছেন। গান গেয়েছেন একের পর এক।

গিটারের তারে আঙুল নেচেছে। দর্শক মুগ্ধ হয়েছে বেজবাবার জাদুতে।

অনেকদিন ধরেই সুমন ক্যান্সারে আক্রান্ত। এ পর্যন্ত এগারোবার তার শরীরে অস্ত্রোপচার হয়েছে। ক্যান্সার প্রথমে আক্রমণ করেছিলো তার মেরুদণ্ড। এরপর মস্তিষ্ক। ক্রমে সেটা পাকস্থলী আর কিডনিতেও ছড়ায়। গত বছরের সেপ্টেম্বরে চিকিৎসক জানিয়েছিলেন, সুমন ক্যান্সারমুক্ত। কিন্তু পুরোপুরি মুক্তি পেলেন কই! আবারও ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন সুমন। এবারের আক্রমণস্থল ডান পা। সে কারণে আবারও ছুরি-কাঁচির নিচে নিজেকে সপে দিতে হবে। আগামী ১৪ নভেম্বর ব্যাংককে এই অস্ত্রোপচার হতে পারে বলে জানিয়েছেন সুমন।

এমন শারীরিক অবস্থা নিয়েই সুমন ছুটেছিলেন সিডনিতে। সেখানকার এক কনসার্টে ১ নভেম্বর দীর্ঘক্ষণ গান গেয়েছেন তিনি। গতকালের অভিজ্ঞতা ফেসবুকে লিখেছেনও- ‘আজ আমার পারফরমেন্সের শেষ গানটা করে স্টেজ থেকে নামছিলাম। হঠাৎ দর্শকদের কাছ থেকে চিৎকার পুরো মিলনায়তন ছাপিয়ে আমাদের কানে আসতে থাকলো, ‘ওয়ান মোর, ওয়ান মোর, ওয়ান মোর...। তারা তখন একদমই চাচ্ছিলো না আমরা নেমে যাই!... গিটারটা হাতে নিতেই মুহূর্তের মধ্যে আমি দর্শকদের চোখে, মুখে যেই উল্লাস দেখলাম সেটা যেন দশটা কেমোথেরাপি থেকে অনেক বেশি কার্যকর! কি গান গাইবো দশবার চিন্তা করতে হলো না। ওয়ারফেজে থাকাকালীন আমার গাওয়া ‘প্রতিচ্ছবি’ গানটা দিয়ে শুরু করলাম এবং শেষ করলাম ‘এপিটাফ’ দিয়ে। স্টেজ থেকে নামার সময় চোখ ভিজে উঠছিলো বারবার। ’

গানই সুমনের সব। শারীরিক অসুস্থতার কারণে বছর পাঁচেক নিয়মিত প্রিয় কাজটিই চালিয়ে যেতে পারেননি। তবু ক্যান্সার টলাতে পারেনি সুমনকে। এখনও সুমন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, মুখে হাসি। বলছেন, ‘আমার ধারণা আমি সুস্থ হয়েই আবার ফিরে আসবো। আমার অনেক কিছু এখনও দেয়ার বাকি। অনেক কিছু! সেসব আপনাদের দিয়েই তবে থামবো। ’ সুমনের জন্য বাংলানিউজের শুভকামনা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৫
কেবিএন/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।