ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

নারীর ইতিহাস মূল্যায়ন না হলে সমাজ উপেক্ষিত হয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০১৫
নারীর ইতিহাস মূল্যায়ন না হলে সমাজ উপেক্ষিত হয় ছবি : পিয়াস/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: নারীর ইতিহাস সঠিকভাবে মূল্যায়ন না হলে সমাজ উপেক্ষিত হয় ও সেই সমাজে ঘাটতি থাকে বলে মন্তব্য করেছেন কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।

শনিবার (০৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে ধানমন্ডির ছায়ানট মিলনায়তনে ২১ তম সাহিত্য পুরস্কার অনন্যা-২০১৫ এর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।



এবার অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন গবেষক-প্রাবন্ধিক ড. সোনিয়া নিশাত আমিন। তার হাতে সম্মাননা ও অর্থমূল্যের চেক তুলে দেন সেলিনা হোসেন।

সেলিনা হোসেন বলেন, পুরুষ নির্মিত ইতিহাসে নারীর ইতিহাস সঠিকভাবে মূল্যায়িত হয়নি। যে সমাজে নারীর ইতিহাস উপেক্ষিত হলে সে সমাজে ঘাটতি থাকে।

তিনি বলেন, এক সময় নারীরা রান্নাঘরে কুপি জ্বালিয়ে গল্প লিখতো। তখন মনে হয়, সত্যি নারীরা কতটা সৃজনশীল ছিলো। কতটা দুর্বিসহ ছিলো তাদের জীবন।

অনন্যা পুরস্কারপ্রাপ্ত সোনিয়া নিশাতের লেখনি নিয়ে তিনি বলেন, সোনিয়া তার বইয়ে নারী ইতিহাস যেভাবে তৈরি হওয়া দরকার ছিলো তাই করেছেন। এর আগে, নারীদের ইতিহাস সঠিকভাবে তুলে ধরেননি কেউ। একমাত্র তিনিই এ কাজটি নিখুঁতভাবে করেছেন।
 
তিনি আরও বলেন, এ ধরনের পুরস্কার নারীদের লিখতে উৎসাহিত করবে। যে কয়েকজন নারী এগিয়ে আসছেন তাদের মূল্যায়ন হবে। ধীরে ধীরে সাহিত্য অঙ্গনে নারীর পদচারণা বাড়বে।

বিশেষ অতিথি ইতিহাসবিদ অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, কোনো সমাজ গুণী মানুষকে মূল্যায়ন করলে সমাজ এগিয়ে যায়। আর তা না করা হলে সমাজ পিছিয়ে যায়। তাই গুণীকে অবশ্যই সমাজের মূল্যায়ন করতে হবে।  

পুরস্কারপ্রাপ্ত গবেষক ও প্রাবন্ধিক ড. সোনিয়া নিশাত আমিন বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্রে যে নারীর অবমাননা তা নারীর অবদানকে উপেক্ষা করেছে সবসময়। যুগে যুগে নারীর ভূমিকাকে লুকানো হয়েছে। তাকে তার জ্ঞান নির্মাণ থেকেও দূরে রাখা হয়েছে।

সভাপতির বক্তব্যে তাসমিমা হোসেন বলেন, বাস্তব জীবনের শিক্ষা সবচেয়ে বড় শিক্ষা।

এর আগে, বিকেলে জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর আবৃত্তি করেন তামান্না ডেইজি। পরে তসলিমা নাসরিনের দু’টি ও কবি কাজী রোজীর একটি গদ্যকবিতা আবৃত্তি করেন তামান্না।
 
সবশেষে অনুষ্ঠানে সবশেষে সঙ্গীত পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী চন্দনা মজুমদার ও মেহরীন।

বাংলা সন ১৪০১ সাল থেকে এ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। প্রথম অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছিলেন কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন ও সর্বশেষ ১৪২১ বাংলা বর্ষের পুরস্কার পান কথাসাহিত্যিক জাহানারা নওশীন। এবার ১৪২২ বর্ষে পুরস্কার পেলেন ড. সোনিয়া নিশাত আমিন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৫
এমআইকে/এসএস

** অনন্যা পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান চলছে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।