ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

আলোকচিত্রে বাংলাদেশের ফড়িং

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০১৬
আলোকচিত্রে বাংলাদেশের ফড়িং

স্থলজ ও জলজ উভয় আবাসস্থলের সূচক হিসেবে কাজ করে এবং জলজ আবাস্থলের জৈবিক স্বাস্থ্য মূল্যায়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয় ফড়িং। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবমূল্যায়ন করার জন্য মডেল অর্গানিজম হিসেবে বিবেচিত হয় তারা।

ফড়িংয়ের গুরুত্ব ও সংরক্ষণ সচেতনতা সমুন্নত রাখার জন্য বেসরকারি সংস্থা ‘জীবন বিকাশ কার্যক্রম’, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের বন অধিদপ্তরের সঙ্গে মিলে আয়োজন করেছে আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও গ্রন্থ প্রকাশনা অনুষ্ঠান।  

ঢাকার ধানমন্ডিস্থ আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকায় ‘বাংলাদেশের ফড়িং-ইনভেন্টরি প্রথম পর্ব’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান হবে আগামী ৫ আগস্ট বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে। এর উদ্বোধন করবেন প্রধান অতিথি আইইউসিএন (ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব ন্যাচার) বাংলাদেশের প্রতিনিধি ইশতিয়াক উদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের বন অধিদপ্তরের কনজারভেটর অব ফরেস্ট অসিত রঞ্জন পাল। সম্মানিত অতিথি থাকবেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড.আব্দুল জব্বার হাওলাদার। অনুষ্ঠানে আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা করছে আইউসিএন বাংলাদেশ।  

ফড়িংয়ের ৩২টি আলোকচিত্র নিয়ে এ প্রদর্শনী চলবে আগামী ১৩ আগস্ট পর্যন্ত। সোম থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা এবং শুক্র ও শনিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা এবং বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। প্রদর্শনীটি সবার জন্য উন্মুক্ত।

প্রথম পর্বের এই তালিকা ২০১৩ সালের নভেম্বর থেকে শুরু করে চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত সময়কালে বাংলাদেশের ৩০টি জেলায় সম্পন্ন হয়েছে। এগুলো হলো ভোলা, বগুড়া, চাঁদপুর, কুমিল্লা, কক্সবাজার, ঢাকা, গাইবান্ধা, গাজীপুর, হবিগঞ্জ, যশোর, জয়পুরহাট, কিশোরগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, লক্ষীপুর, মানিকগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ময়মনসিংহ, নড়াইল, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, নাটোর, নেত্রকোণা, পঞ্চগড়, রাঙ্গামাটি, রংপুর, সুনামগঞ্জ, সিলেট, টাঙ্গাইল ও বান্দরবান (লামা, সদর, থানচি উপজেলা)।

লাউয়াছড়া ন্যাশনাল পার্ক, সাতছড়ি ন্যাশনাল পার্ক, রাজকান্দি রিজার্ভ ফরেস্ট, কাপ্তাই ন্যাশনাল পার্ক, হিমছড়ি ন্যাশনাল পার্ক, ভাওয়াল ন্যাশনাল পার্ক, চর কুকরি মুকরি বন্য প্রাণী অভয়ারণ্য, মাধবকুন্ড ইকো পার্ক ও মিরপুরের জাতীয় বোটানিক্যাল গার্ডেন এই গবেষণার অন্তর্ভুক্ত। ৯টি পরিবারে ৬২টি প্রজাতির মোট তিন লাখ ৯৭২টি ছবি এই গবেষণায় প্রাথমিক পর্যায়ে নথিভুক্ত করা হয়েছে। প্রতিটি প্রজাতির পৃথক ট্যাক্সনমি এই প্রকাশনায় অন্তর্ভুক্ত আছে। অন্যান্য স্থিতিমাপক যেমন প্রচলিত নাম, আঙ্গিক বৈশিষ্ট্য, বাসস্থান ও বাস্তুবিদ্যা, প্রাচুর্যতা, ভৌগলিক অবস্থান, বিশ্বব্যাপী আইইউসি তালিকার অবস্থান এই প্রকাশনার অন্তর্ভুক্ত। প্রকাশনায় এ ছাড়াও জরিপ এলাকার আবাহাওয়া বিষয়ক তথ্যও যুক্ত আছে।  

বাংলাদেশ সময় : ১৮৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০১৬
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।