দীর্ঘদিন ধরে মুসলিম সমাজে এই প্রথাকে বহু ক্ষেত্রেই অপব্যবহার করা হচ্ছে বলে দাবি তুলেছিলেন অনেকেই। তার জেরেই ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) এই ঐতিহাসিক রায় দেয়।
এই তিন তালাক প্রথার শিকার হতে হয়েছিলো ভারতীয় চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মীনা কুমারীকে।
১৯৫২ সালে চলচ্চিত্র নির্মাতা কমল আমরোহীকে মুসলিম নিয়মে মতে বিয়ে করেছিলেন মীনা কুমারী। কিন্তু বিবাহিত সে জীবন সুখকর হয়নি। একদিন রাগের বশে মীনাকে তিন তালাক দিয়ে দেন কমল।
কিছুদিন পর নিজের ভুল বুঝতে পারেন কমল। কিন্তু তার ফিরে আসার সমস্ত পথ রুদ্ধ করে দেয় তার ধর্ম। চাইলেও তিনি পুনরায় বিয়ে করতে পারেন না মীনা কুমারীকে। তখন মুসলিম রীতিরই আরেক প্রথা নিকাহ হালালর পথ বেছে নেন কমল ও মীনা। যেখানে একই ব্যক্তিকে পুনরায় বিয়ে করার জন্য অন্য কাউকে বিয়ে করতে হয়, তারপর তার থেকে তালাক নিয়ে আগের স্বামীকে পুনরায় বিয়ে করা যায়।
মীনাকে বিয়ে করার জন্য নিজের কাছের বন্ধু আমান উল্লাহ খানকে অনুরোধ করেছিলেন কমল। নিজের ভালোবাসা বাঁচাতে আমানকে বিয়ে করেন মীনা কুমারী। একমাস সংসারও করেন আমানের সঙ্গে। তারপর তার থেকে তালাক নিয়ে ফের বিয়ে করেন কমল আমরোহীকে। ব্যক্তিগত এসব কথা নিজের লেখা কবিতায় তুলে ধরেছিলেন বলিউডের এই অভিনেত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৭
বিএসকে/এসও