বর্ণিল জীবনের এসব থেকেই নাকি শিক্ষা গ্রহণ করেছেন ৫৬ বছর বয়সী এই অভিনেতা। সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যম হাঙ্গামায় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পাঁচ শিক্ষণীয় ঘটনার আলোকে সবাইকে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন সঞ্জয়।
ভূমির আইন
আমাদের প্রত্যেকের উচিত আইন সম্পর্কে জানা। আইন সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন না করাই ছিলো আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল। আমাকে যখন প্রথম কারাবন্দি করা হয়েছিলো, আমি ভেবেছিলাম ছেড়ে দেবেন পুলিশ। সে সময় আমাকে আটক করা হয়েছিলো টাডা (টেরোরিস্ট অ্যান্ড ডিস্রুপটিভ অ্যাকটিভিটিস অ্যাক্ট) আইনে। কিন্তু এর সম্পর্কে আমার কোনো ধারণাই ছিলো না। পরে আমি টাডা, আইপিসি (ইন্ডিয়ান প্যানেল কোড) ও এমসিওসিএ (মহারাষ্ট্র কন্ট্রোল অব অরগানাইজড ক্রাইম অ্যাক্ট) সম্পর্কে আমার আইনজীবীর কাছ থেকে জেনেছি।
বিপদের মোকাবেলা করা
বিপদ দেখলে কখনও পালিয়ে যাবেন না। বরং তার সঙ্গে মোকাবেলা করার চেষ্টা করুন। সমস্যাটির দিকে নজর দিন এতে আপনার শক্তির প্রসার ঘটবে এবং নিজেকে বলুন আপনি আবার ফিরে আসবেন।
এটাই শেষ
অতীতকে পেছনে ফেলে আসা উচিত। আমি অতীতের সব কিছুকে মুছে ফেলে নতুন করে শুরু করায় বিশ্বাসী।
নিজের ভুল
আমি একজন মানুষ, আমার ভুল হতেই পারে। কিন্তু আমাদের প্রতেক্যের উচিত এই বিষয়টিতে সৎ থাকা এবং নিজের ভুলতে স্বীকার করা। টাডার (টেরোরিস্ট অ্যান্ড ডিস্রুপটিভ অ্যাকটিভিটিস অ্যাক্ট) জন্য যখন সঞ্জয়কে আটক করার হবে সেসময় মরিসাসে দৃশ্যধারণ করছিলেন সঞ্জয়। তাকে ফোন করে বিষয়টি জানান তার বোন। চমকপ্রদ তথ্য হলো- চাইলেই তিনি পালিয়ে যেতে পারতেন কিন্তু সেটি না করে দৃশ্যধারণ বাদ দিয়ে মুম্বাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।
প্রত্যাশা বন্ধ করুন
জেলে থাকাকালীন সময়ে কোনো প্রত্যাশা করা উচিত নয়। আশা করা বন্ধ করার জন্য আমার প্রায় দুই সপ্তাহ সময় লেগেছিলো। ফলে আমার জেলের সময়গুলো খুব দ্রুত কেটে গেছে। আশা করা খারাপ নয়, কিন্তু এটিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সক্ষম হওয়া উচিত।
দীর্ঘ বিরতির পর ২২ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেয়েছে সঞ্জয় দত্ত অভিনীত ‘ভূমি’। এতে তার মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন বলিউড অভিনেত্রী অদিতি রাও হায়দারি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৭
বিএসকে/এসও