মঞ্চের রঙিন আলোয় বিদেশি গানগুলো দর্শকদের কাছে ছিলো ঘোর লাগার মতোই। বাংলার লোকগানের মতো সে গানেও দর্শক-শ্রোতারা ডুব দিয়েছেন বুঁদ হয়ে।
গানের বিভিন্ন পর্যায়ে দর্শক-শ্রোতাদের হাততালি আর অভিবাদনের সুর ছিলো আতিথেয়তার বড় প্রমাণ। মঞ্চের গায়েনদের তালে তালে নেচে তাদের সাথে তাল মিলিয়েছেন গানপাগল মানুষদের অনেকেই। অভিবাদন জানিয়েছেন দু’হাত নেড়ে।
মোরিসিও টিযুমবার পর মঞ্চে গান নিয়ে আসেন তিব্বতের তেনজিন চো’য়েগাল। বাঙালি শ্রোতা-দর্শকদের উৎসাহ, অভিবাদন আর ভালোবাসা কম ছিলো না তার জন্যেও।
আরও পড়ুন>>
** কার্তিকের কুয়াশায় লোক গানের ঘোর!
বিদেশি গানের ব্যাপারে কথা হয় লোকসংগীত উৎসবে আগত ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ঊর্মি মাহবুবের সাথে। তিনি বলেন, নিজেদের দেশের গানগুলোর পাশাপাশি এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমরা ভিন্ন দেশের সংস্কৃতি ও তাদের লোকজ গানের সাথে, গানের কথা, সুর আর গায়নভঙ্গির সঙ্গে পরিচিত হতে পারছি। এটি অবশ্যই আমাদের জন্য একটি ভালো দিক।
প্রথম পর্বের গানের শেষে বাংলানিউজের কথা হয় ব্রাজিলের মোরিসিও টিযুমবা’র সাথে। তিনি বলেন, ভিন্ন একটা দেশের গানগুলো যে এদেশের মানুষ এতোটা দরদী প্রাণ নিয়ে গ্রহণ করবেন, এমনটা ভাবিনি। এদেশের মানুষ অনেক গানপ্রিয়। তারা তাদের নিজস্ব সংস্কৃতির গানগুলোর পাশাপাশি সম্মান জানাতে পারে বিদেশি ভাষার অচেনা সুরের গানকেও।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৭
এইচএমএস/জেএম