চিকিৎসকদের উদ্ধৃতি দিয়ে রোববার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সাব্বির সিদ্দিকী বাংলানিউজকে বলেন, ‘চিকিৎসকরা কোনো আশার বাণী শোনাতে পারেননি, বাবা আগের মতোই আছেন। কোনো শারীরিক উন্নতি দেখছেন না তারা’।
চিকিৎসকরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এখন আল্লাহ্র ওপর ভরসা করা ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় নেই’।
বাবার সুস্থতায় সকলের কাছে দোয়া চান তিনি।
সাব্বির সিদ্দিকী জানান, তার বাবা গত দুই বছর ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছেন। গত বছর থেকে সপ্তাহে তিনদিন কিডনির ডায়ালাইসিস করে আসছিলেন। ডায়াবেটিস্ও রয়েছে তার। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়লে দ্রুত তাকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) ভোররাতে বারী সিদ্দিকীকে লাইফ সাপোর্টে নেন চিকিৎসকরা।
পারিবারিক সূত্রে আরও জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে যান বারী সিদ্দিকী। বাসায় ফেরেন রাত দশটার দিকে। এরপর ঠিকমতো খেয়ে ঘুমিয়েও পড়েন। তবে অনেক রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
বারী সিদ্দিকীর দু’টি কিডনিই অকার্যকর হয়ে পড়ায় তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
স্কয়ার হাসপাতালের তথ্য অনুসন্ধান বিভাগের কর্মকর্তা ব্রাদার মনজুরুল বাংলানিউজকে বলেন, শুক্রবার রাতে ইবনে সিনা হাসপাতাল থেকে তাকে এখানে আনা হয়।
বহু বছর ধরে সংগীতের সঙ্গে জড়িত এই গুণী শিল্পী। তবে দেশবাসীর কাছে পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা পান ১৯৯৯ সালে। ওই বছর কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ ছবিতে ছয়টি গান করেন তিনি, যার প্রতিটিই জনপ্রিয় হয়। গানগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘শুয়াচান পাখি আমি ডাকিতাছি তুমি ঘুমাইছ নাকি’, ‘পূবালি বাতাসে’, ‘আমার গায়ে যত দুঃখ সয়’, ‘ওলো ভাবিজান নাউ বাওয়া’ এবং ‘মানুষ ধরো মানুষ ভজো’।
এরপরও তিনি কয়েকটি সিনেমায় প্লে-ব্যাক করেছেন। তার গাওয়া গান নিয়ে বের হয়েছে অডিও অ্যালবাম। নিয়মিত গান করেন টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে ও গানের আসরে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৭
এজেডএস/এএসআর