মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) শিল্পকলা একাডেমির চিলেকোঠায় যাত্রাপালার শেষে এমনটাই বলছিলেন এ দর্শক। তিনি বলেন, গ্রামাঞ্চলে এখনও কোথাও কোথাও যাত্রাপালা হয়।
শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করেছে তিন দিনব্যাপী যাত্রাপালা। জাতীয় নাট্যশালায় এ আয়োজন চলবে বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) পর্যন্ত। প্রতিদিন বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে রাত পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে তিনটি করে পালা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় যাত্রাপালা ‘মিলন মালা’। খুলনার বনানী অপেরার এ পালা পরিচালনা করেন সেলিম রেজা। যাত্রাপালার বিভিন্ন দিক নিয়ে তার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, শুধু পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে যাত্রা শিল্প বর্তমানে হারিয়ে যেতে বসেছে। যাত্রা শিল্পীরাও এ কারণে বর্তমানে করুণ দিনযাপন করছেন। যাত্রার উন্নয়ন ও নতুন শিল্পী তৈরিতে নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিৎ।
যাত্রাপালা প্রদর্শনীর এ আয়োজন প্রশংসিত হয় সাধারণ মানুষের কাছে। চিলেকোঠার মঞ্চে যাত্রা দেখতে হাজির হয়েছিলেন সমাজের প্রায় সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। তারা শিল্পকলার এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান। একইসঙ্গে বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম এ যাত্রা অনুষ্ঠান নিয়মিত আয়োজনের প্রত্যাশা করেন।
মঞ্চে মুখের অভিব্যক্তি আর সংলাপ প্রক্ষেপণে দর্শকদের মুগ্ধ করেন শিল্পীরা। এ শিল্পীরা প্রাণের টানে যাত্রা করেন। তাদের অর্থের প্রাচুর্য নেই। তারা বিশ্বাস করেন, যাত্রার দর্শক এখনও রয়েছে, শুধু চাই ভালো পরিবেশ।
ষোড়শ শতকে অভিনয়-কলা হিসেবে যাত্রার উদ্ভব হলেও এর বিকাশ শুরু হয় অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে। তবে আধুনিক আকাশ সংস্কৃতি আর ইন্টারনেটের প্রভাবে ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে বসেছে বাংলার গ্রামীণ এ শিল্প ঐতিহ্যটি।
বাংলাদেশ সময়: ০১২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৭
এইচএমএস/আরআর