ঢাকা, রবিবার, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২৫ মে ২০২৫, ২৭ জিলকদ ১৪৪৬

বিনোদন

ছটকু নয়, পারিবারিক উদ্যোগে রাজ্জাকের জীবনী

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০:৪১, নভেম্বর ২৯, ২০১৭
ছটকু নয়, পারিবারিক উদ্যোগে রাজ্জাকের জীবনী নায়করাজ রাজ্জাক/ ছবি: বাংলানিউজ

কিংবদন্তি অভিনেতা নায়করাজ রাজ্জাকের জীবনী লেখার উদ্যোগ নিয়েছিলেন চলচ্চিত্রকার ছটকু আহমেদ। আগামী বইমেলায় জীবনীটি প্রকাশের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু রাজ্জাক পরিবারের আপত্তিতে তার স্বপ্নে গুড়ে বালি। জীবনী লেখা থেকে বর্তমানে বিরত রয়েছেন ছটকু।

তবে ভবিষ্যতে পারিবারিক উদ্যোগে নায়করাজের জীবনী প্রকাশ পাবে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন রাজ্জাকপুত্র সম্রাট।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে সম্রাট বলেন, বাবার জীবনের এমন অনেক বিষয় আছে যা বাইরের মানুষ জানেন না।

তার ক্যারিয়ারের অনেক তথ্য রয়েছে যা পরিবারের বাইরে কখনো যায়নি। যা শুধু আমরা জানি। তাছাড়া মা এখনো জীবিত। তিনি বাবার জীবনের প্রতিটি সাফল্য-ব্যর্থতার সঙ্গীনি। আমাদের ইচ্ছে তার সহযোগিতায় পারিবারিক উদ্যোগে বাবার জীবনী প্রকাশ করা।

অনুমতি ছাড়া রাজ্জাকের জীবনী যাতে প্রকাশ না পায়, সেজন্য সম্প্রতি গুলশান থানায় জিডি করেছেন রাজ্জাকের বড় ছেলে অভিনেতা বাপ্পারাজ।

এ প্রসঙ্গে সম্রাট বলেন, রাজ্জাক দেশের সম্পদ। যে কেউ চাইলেই ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য হাসিল করতে তাকে নিয়ে বই প্রকাশ করবে সেটা কখনো আমরা মেনে নেব না। তাই পারিবারিকভাবেই থানায় জিডি করা হয়েছে। যাতে ভুল তথ্য দিয়ে কেউ বাবার জীবনী প্রকাশ করতে না পারেন।
নায়করাজ রাজ্জাক/ ছবি: বাংলানিউজএদিকে রাজ্জাক জীবিত থাকা অবস্থাতেই ‘নায়করাজ রাজ্জাক: টালিগঞ্জ থেকে ঢালিউড’ শিরোনামে বই প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছিলেন ‘সত্যের মৃত্যু নেই’ খ্যাত নির্মাতা ছটকু আহমেদ। কিন্তু রাজ্জাকের পরিবারের আপত্তিতে বইটি লেখা থেকে বিরত রয়েছেন তিনি।  

ছটকু আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, রাজ্জাক সাহেব জীবিত থাকা অবস্থাতেই আমাকে বই লেখার অনুমতি দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন তার পরিবারের আপত্তির কারণে লেখা স্থগিত রেখেছি। তবে ভবিষ্যতে জীবনী প্রকাশ পেলে আমাকেই অনুমতি দেবে বলে রাজ্জাক পরিবার জানিয়েছে।

চলতি বছর ২১ আগস্ট ৭৬ বছর বয়সে পৃথিবী থেকে বিদায় নেন নায়করাজ রাজ্জাক। পঞ্চাশোর্ধ্ব বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৭
জেআইএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।