এর মধ্যে রয়েছে ‘আগ’, ‘বারসাত’, ‘আওয়ারা’, ‘শ্রী ৪২০’, ‘জিস দেশ মে গঙ্গা বেহতি’, ‘মেরা নাম জোকার’, ‘ববি’, ‘সত্যম শিবম সুন্দরম’সহ বলিউডের অনেক ব্যবসা সফল ছবির শুটিং হয়েছে আর কে স্টুডিওতে।
জানা গেছে- এই স্টুডিওটি বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ কাপুরের সন্তান অভিনেতা ঋষি কাপুর, রণধীর কাপুর, রাজীব কাপুর, রীমা ও ঋতু নন্দা।
মুম্বাই মিররকে ঋষি কাপুর জানিয়েছেন, “কিছুদিনের আগেও আমরা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে আরকে স্টুডিওকে নতুন করে সাজিয়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তবে বাস্তবটা হল ফিনিক্স থেকে নতুন করে ছাই ঝেড়ে ফেলে উঠে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। সত্যিটা হল আরকে স্টুডিওকে নতুন করে গড়ে তোলায় জন্য যে পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে পরবর্তীকালে এটি থেকে ততটা লাভ হবে না। অনেক ভেবেই এমন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে আমাদের। এমনকি আরকে স্টুডিওতে আগুন লাগার আগেও এটি আমাদের কাছে একটা বড় সাদা হাতি পোষা ছাড়া আর কিছুই ছিল না। খুব কম সিনেমা, সিরিয়ালের জন্যই এই স্টুডিওটা ভাড়া করা হত। অথচ এটা চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার খরচ হচ্ছে অত্যন্ত বেশি। ”
যোগ করে ঋষি আরও বলেছেন, “বর্তমানে আমাদের ভাই-বোনদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক রয়েছে, কিন্তু আমাদের ছেলে-মেয়ে, নাতি-নাতনিদের মধ্যেও সেটা যে চিরকাল বজায় থাকবে কিনা কে বলতে পারে? ওখানে আরও অনেক শিল্প রয়েছে, শুধু স্টুডিওটিরই এই পরিণতি হচ্ছে। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ঝামেলা হলেও আইনজীবী মোটা টাকা নিয়ে তার সমাধান করেন। শুধু স্টুডিওরই এই পরিণতি হয়। আপনার কী মনে হয়, আমার বাবা যদি থাকতেন তিনি কি মেনে নিতে পারতেন যে তার ভালোবাসা পরিশ্রম দিয়ে তৈরি এই জিনিসটার এই পরিণতি হচ্ছে? এটা তো সত্যি এর সঙ্গে বহু স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। ”
গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে ‘সুপার ডান্সার’র শুটিংয়ের সময় আরকে স্টুডিওতে আগুন লাগে। সেময় ক্ষতিগ্রস্ত হয় কাপুর পরিবারের ঐতিহ্যবাহী আরকে স্টুডিওটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৮
বিএসকে