গত বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত নাট্যশিক্ষক ড. বিপ্লব বালা, বাংলা একাডেমির উপ-পরিচালক ড. তপন বাগচী এবং সম্প্রীতি প্রকল্পের প্রোগ্রাম ম্যানেজার শাহরিয়ার মান্নান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাতিঘর সাংস্কৃতিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মেহেদী হাসান শোয়েব।
উৎসবের উদ্বোধনী দিনে পরিবেশিত হয় বায়তুল মোশাররফ সিনিয়র মাদ্রাসার নাটক- ‘কোরআন সূত্রের জিহাদিগণ’, ড্যাফোডিল অল স্টারসের নাটক ‘গাহি সাম্যের গান’, বঙ্গরঙ্গ নাট্যদলের নাটক ‘সৎ পথ’ এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ‘ওয়ার্ড নং ৬’।
দ্বিতীয় দিন শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) মঞ্চায়িত হয়েছে বাতিঘর সাংস্কৃতিক বিদ্যালয়ের বনশ্রী শাখার নাটক ‘সুন্দর মন’, ওয়ারী শাখার নাটক ‘জুতা আবিষ্কার’, লালমাটিয়া শাখার নাটক ‘তাসের দেশ’ এবং ড্যাফোডিল রোটার্যাক্ট ক্লাবের নাটক ‘খুকির জীবন কাহিনী’। এ দিন অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খ্যাতিমান নাট্যকার ও নির্দেশক অলোক বসু।
উৎসবের শেষ দিন শনিবার (২৭ অক্টোবর) তিনটি নাটক পরিবেশিত হয়। বাতিঘর সাংস্কৃতিক বিদ্যালয়ের মিরপুর শাখা মঞ্চায়ন করে ‘মানুষ’ এবং উত্তরা শাখা মঞ্চায়ন করে ‘বাল্মীকি প্রতিভা’। সবশেষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় দল পরিবেশন করে ‘গ্রন্থিকগণ কহে’।
‘বিভাজন নয় সম্প্রীতি, সহিংসতা নয় ভালোবাসা’ এই স্লোগান নিয়ে অনুষ্ঠিত নাট্য উৎসবের শেষ অংশে নাটকগুলোর মূল্যায়ন করে বক্তব্য রাখেন ড. বিপ্লব বালা। সমাপনী বক্তব্য দেন সম্প্রীতির ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার শাহাজাদি বেগম।
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ‘সম্প্রীতি’ প্রকল্পের আওতায় বাতিঘরের প্রথম আয়োজন ছিল ‘সম্প্রীতি-বাতিঘর নাট্য উৎসব ২০১৮’।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৮
জেআইএম