সবচেয়ে লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো- মিলা একজন রকস্টার হয়েও শহর থেকে শুরু করে এদেশের গ্রামগঞ্জ সবখানে সব শ্রেণীর মানুষের মন জয় করেছিলেন তার গায়কীর নিজস্বতায়। এককথায় বলতে গেলে, মিলা শ্রোতাদের চাহিদাকে আবিষ্কার করতে পেরেছিলেন।
তিনি এখন গানে নেই। গানে ফেরার সম্ভাবনাও আপাতত শূন্য। গান এখন তার কণ্ঠে নেই, মস্তিষ্কে নেই, নেই চিন্তায়, এমনি ভুল করে আসা চেতনায়ও নেই গান। যতদিন মন থেকে গানে ফেরার ব্যাকুলতা তৈরি না হবে, ততদিন তার গানে আর ফেরা হচ্ছে না বলে জানান মিলা।
গানের মিলা গানে ফিরবেন না! অথচ ঘর থেকে বের হলেই শোনা যেতো মিলার গান। ক্রিকেট মাঠ মুখরিত হতো মিলার গানে। স্টেজ শো মানেই মিলার গান। তাই নয় কি?
কিন্তু মিলা এখন গানে নেই কেনো? কিংবা গানে ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণ কি?
এ কারণ অবশ্য সবারই জানা। কিন্তু এটাও কারও অজানা যে, মিডিয়াতে আজ বিয়ে, কাল ছাড়াছাড়ি অহরহই হয়। অথচ মিলা তা মেনেই নিতে পারছেন না, কারণ দশ বছরের সম্পর্কের পর বিয়ে করেছিলেন প্রিয় মানুষটিকে। যা হওয়ার তার কিছুই হলো না। বিয়ের তিনদিনের মধ্যে তাদের মধ্যে শুরু হয় ভাঙনের খেলা। এই খেলা আজ অবধি চলছে।
তাই মিলার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ‘আমি তো গানে মিলা। গানই আমাকে আজকের মিলা বানিয়েছে। অথচ আমি এখন গানে ফেরার কথা কল্পনায়ও আনতে পারছি না (কান্না ভরা কণ্ঠে)। যে গান গেয়ে আমি মিলা হয়েছি, সেই আমি আজ গানের কথা মাথায় আনতে পারছি না। বুঝতেই পারছেন কতটা বিধ্বস্ত আমি’।
মিলা আরও বলেন, ‘একটা মুখোশধারী মানুষকে চিনতে না পারা, আর সেই মানুষটাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়ে সব হারালাম। নিজেকে তো হারালামই, তাকেও ধরে রাখতে পারলাম না।
তবে, মিলা তার অধিকার আদায়ে আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। হার-জিতের হিসেব যদিও তার মাথায় নেই। কিন্তু পরাজয় জেনেও যুদ্ধে লড়ে যাওয়া সৈনিকের কাজ- বললেন মিলা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৮
ওএফবি/জেডএস