এবি আর কোনদিন চিরচেনা গিটার হাতে মঞ্চে উঠবেন না, তার সঙ্গে কণ্ঠ মেলাবেননা ভক্তরা। তবে কিংবদন্তি এ রকস্টারের রেখে যাওয়া সুরেই আবারও স্মরণ করলো ভক্তরা।
বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) রাতে ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূঞা স্টেডিয়ামে মেগা কনসার্টের মঞ্চে উপস্থাপক মারিয়া নূর বলছিলেন, আমাদের দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে রক মিউজিক পৌঁছে দিয়েছেন বাচ্চু ভাই। গান দিয়ে তিনি আমাদের মধ্যে সব সময় থাকবেন। শুধু মন মস্তিষ্কেই নয়, আমাদের কন্ঠেও তার গান থাকবে।
তবে বাচ্চুহীনা এলআরবি’র কী আর সাধ্য আছে সেই বিশাল এক শূন্যস্থান পূরণে! তবুও চট্টগ্রাম এবং ঢাকার পর এদিন ময়মনসিংহের মঞ্চে পারফর্ম করেছে এলআরবি।
‘উড়াল দেবো আকাশে’ এবং ‘সেই তুমি’ গানের মাধ্যমেই যেনো খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা বাংলা ব্যান্ড সঙ্গীতের বিস্ময়কর সেই পুরুষকে।
অনেক জনপ্রিয় গানের স্রষ্টা বাচ্চু যখন মঞ্চে ওঠে ‘চলো বদলে যাই’ সুর তুলতেন তখন নেমে আসতো অন্ধকার। সবার হাতে থাকা মোবাইলের আলো জ্বলে ওঠতো।
সুরের মোহময়তায় তালে তালে উচ্ছ্বসিত তারুণ্য এদিনও একইভাবে স্মরণ করলো রূপালী গিটারের জাদুকরকে। আর তখন নীরবে অশ্রু গড়িয়ে পড়ে তারুণ্যের নয়নে। এই যেনো শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার অশ্রু।
এলআরবি ব্যান্ড টিম মঞ্চে ওঠার সময়েই দু’পাশের স্ক্রিনে ‘প্রজন্মের অহংকার, অপ্রতিদ্বন্দ্বী রকস্টার, রূপালী গিটারের জাদুকর, তারুণ্যের আইকন, সঙ্গীতের মুকুটহীন সম্রাটসহ নানা উপমা জুড়ে দেখানো হচ্ছিল কিংবদন্তি বাচ্চু’র নানা ছবি।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ‘শেকড়ের সন্ধানে’ মেগা কনসার্টকে ঘিরে নগরীর এ স্টেডিয়ামে তারুণ্যের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসের পাশাপাশি ছিলো সব বয়সী মানুষের স্রোত।
এলআরবি ছাড়াও কনসার্টে তাপস-‘আছেন আমার মুক্তার, চার ছক্কা হইহই, রেশমি-কমলায় নৃত্য করে, পুলক- থাকতে যদি, ঐশী-নিজাম উদ্দিন আউলিয়া, রিংকু-কানার হাট বাজার, শামীম-স্বাদের লাউ, চিশতি বাউল-বেহায়া মন, কুদ্দুস বয়াতী-পাগলা ঘোড়া, ফকির শাহাবুদ্দিন-পাল তুলে দে গান পরিবেশন করেন।
হালের আরেক জনপ্রিয় ক্রেজ কণ্ঠশিল্পী হৃদয় খানের কণ্ঠে শোনা যায়- কী জ্বালা, অবুঝ ভালোবাসা এবং চাই না মেয়ে তুমি’র মতো গান গেয়ে মুগ্ধ করেন শ্রোতাদের।
তাপসের গানে শুরুতেই কনসার্ট জমে ওঠলেও শেষটা হয় বিরহী সুরে, হৃদয় ভাঙার গান দিয়ে। এলআরবি’র ‘চলো বদলে যাই’ দিয়ে সাঙ্গ হয় উপভোগ্য এই মিলনমেলা।
বাংলাদেশ সময়: ০৫০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৮
এমএএএম/এপি/পিএম/এসআরএস