সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে শনিবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় আমজাদ হোসেনের মরদেহ নেওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে।
মরদেহ শহীদ মিনারে আনার পর প্রথমে বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
![শহীদ মিনারে আমজাদ হোসেনের মরদেহ। ছবি: বাংলানিউজ](https://www.banglanews24.com/media/imgAll/2018October25/bg/amjad-hossian-inner120181222132540.jpg)
শ্রদ্ধা জানানো শেষে নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ বলেন, ৬০ বছর ধরে আমজাদ হোসেন কাজ করেছে। তিনি প্রতি মুহূর্তে শুধু দেশকে নিয়ে চিন্তা করতেন। জীবনে সুখদুঃখ থাকবে, এর মধ্য দিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। আমরা তার রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। পাশাপাশি গভীর শোক প্রকাশ করছি।
নাট্যব্যক্তিত্ব হাসান ইমাম বলেন, এমন একজন শিল্পীকে আমরা হয়তো শারীরিকভাবে আর কখনো পাবো না, কিন্তু তার সৃষ্টিগুলো আমাদের মাঝে অমর হয়ে থাকবে। বাংলা সংস্কৃতির বিরাট জায়গা জুড়ে তিনি আছেন এবং থাকবেন। তার স্মৃতি সংরক্ষণ করা হবে। এমন প্রতিভাবান মানুষ আর বাংলার চলচ্চিত্রে আসবে বলে মনে হয় না।
অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী বলেন, আমজাদ হোসেনের স্থান অপূরণীয়।
নির্মাতা ও অভিনেতা সালাউদ্দিন লাভলু বলেন, আমজাদ হোসেন নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান ছিলেন। তিনি শারীরিকভাবে চলে গেলেও আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন।
আমজাদ হোসেনের ছোট ছেলে সোহেল আরমান বলেন, আমাদের কাছে বাবা আছেন, থাকবেন। বাবা বাংলাদেশ ও দেশের মানুষকে অনেক ভালোবাসতেন। যার প্রমাণ তার বিভিন্ন কর্মে ইতোমধ্যে প্রকাশ পেয়েছে। বাবা আমাদের বলতেন, দেশে ও মানুষকে সবসময় ভালবাসবে।
সর্বস্তরের মানুষের শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের পর দুপুর ১২টা ৫০মিনিটের দিকে আমজাদ হোসেনের মরদেহ শহীদ মিনার থেকে নিয়ে যাওয়া হয় এটিএন বাংলা টেলিভিশন ভবনে। এরপর বাদ জোহর তার প্রিয় কর্মস্থল বিএফডিসিতে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে।
বিএফডিসিতে জানাজা শেষে জামালপুর নিজ গ্রামের বাড়িতে রওনা হবে গুণী এই নির্মাতার মরদেহ। সেখানে পারিবারিক কবর স্থানে তার বাবার কবরে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে।
১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ৩টায় ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আমজাদ হোসেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আর্থিক সহায়তায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে থাইল্যান্ড নেওয়া হয়েছিলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৮
জিসিজি/জেআইএম