ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

‘গীতি চন্দ্রাবতী’তে মন্ত্রমুগ্ধ দর্শকশ্রোতা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯
‘গীতি চন্দ্রাবতী’তে মন্ত্রমুগ্ধ দর্শকশ্রোতা

ঢাকা: আবহমান গ্রাম বাংলার প্রাচীন নাট্যরীতির আদলে ‘মৈমনসিংহ গীতিকা’ থেকে নৃত্য-গীত এবং ছড়ার ছন্দে সংলাপের শৈল্পিক উপস্থাপনায় ‘গীতি চন্দ্রাবতী’ মঞ্চনাটকে মন্ত্রমুগ্ধ হয়েছেন দর্শকশ্রোতা।    

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে মঞ্চায়ন হয় ‘গীতি চন্দ্রাবতী’।

‘গীতি চন্দ্রাবতী’ নাটকের নির্দেশনা দেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক ইউসুফ হাসান অর্ক।

সেইসঙ্গে মঞ্চ ও সংগীতের নির্দেশনাও দেন ইউসুফ হাসান অর্ক। লাইটে ছিলেন অম্লান বিশ্বাস, কস্টিউমের দায়িত্বে ছিলেন আইরিন পারভিন লোপা। নাটকটির কোরিওগ্রাফি করেন শ্রাবন্তী গুপ্ত। নাটকটি প্রযোজনা করে সংস্কার নাট্যদল।  

‘গীতি চন্দ্রাবতী’র অনবদ্য পরিবেশনা মন্ত্রমুগ্ধ করেছে দর্শকশ্রোতাদের

চন্দ্রাবতী শৈশবের সাথী জয়ানন্দের কাছ থেকে প্রেমপত্র পেয়ে মনে-প্রাণে তাকেই স্বামী রূপে বরণ করে নিয়েছিলেন। তাদের দুজনের বিয়ের আয়োজনও করা হয়। কিন্তু বিয়ের দিন শুভক্ষণ পেরিয়ে গেলেও বর আর আসে না। বিয়ের আসরেই চন্দ্রাবতী জানতে পারে, জয়ানন্দের আসমানী নামে এক মুসলিম নারীর সঙ্গে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।  

শোকে পাথর ও কাতর চন্দ্রাবতী সিদ্ধান্ত নেয় জীবনে আর সে বিয়ে করবে না। পিতার পরামর্শে চন্দ্রাবতী ধ্যানমগ্ন যোগিনী হয়ে ওঠেন। তিন বছর পর জয়ানন্দ তার ভুল বুঝতে পেরে, অনুশোচনার আগুনে দগ্ধ হয়ে ফিরে এলেও তখন চন্দ্রাবতী পরিপূর্ণ একজন যোগিনী। এই সংসারের পার্থিব কোন কিছুই আর তাকে স্পর্শ করতে পারেনা।

চন্দ্রাবতী

চন্দ্রাবতী বলছে, ‘নয়নের জলে কন্যার অক্ষরও ঘুচিলো, একবার দুইবার কন্যা পত্র যে পড়িল’। আবার জয়ানন্দ বলছে, ‘দেব পূজার ফুল তুমি, তুমি গঙ্গার পানি, আমি যদি ছুঁই কন্যা হইবা মাদকিনি’, ছড়ার ছন্দে ছন্দে নাটকের এমন সংলাপ সেইসঙ্গে নৃত্য এবং ‘স্বপ্নের হাসি, স্বপ্নের কান্দন! নয়ান চান্দে গায়, নিজেরও অন্তরের দুঃখ পরকে বুঝান দায়। ’ এমন করুণ গান দর্শক হৃদয়েও দুঃখের আবহ তৈরি করে। ফলে নাটকটি শেষ হয়ে গেলেও নাটকের রেশ রয়ে যায় দর্শকের হৃদয় জুড়ে।  

‘গীতি চন্দ্রাবতী’ নাটকের নির্দেশক অধ্যাপক ইউসুফ হাসান অর্ক বলেন, কবি চন্দ্রাবতীর কাহিনী বর্তমান যুগেও সত্য বলে প্রচারিত হয়। ‘গীতি চন্দ্রাবতী’ নাটকের অভিনয়রীতিকে আমরা বলছি গাহনাভিনয়। এই নাটকে চরিত্রাভিনয়ে এক ধরণের নিরীক্ষা করা হয়েছে। যেখানে চরিত্র নিজেই তার নানা ঘটনার বর্ণনা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ০২৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯
আরকেআর/এমকেআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।