ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

উজানের ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২, ২০১৯
উজানের ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

স্রোতের বিপরীতে চলার নামই ‘উজান’। আর উজানের ছদ্মনাম হলো ‘বাউলমন’। লোকজ ও আঞ্চলিক গানের দল ‘উজান’। বাংলার লোকসংস্কৃতির অন্যতম শাখা লোকসংগীতকে ধারণ এবং সবশ্রেণীর মানুষের মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে গঠন করা হয় গানের দল ‘উজান’।

গানের এই সংগঠনটি এরই মধ্যে ছয় বছর পূর্ণ করেছে। অর্থাৎ উজানের ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানীর সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে ‘বাউলমন’ অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা উদযাপন করা হয়।

এ আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতি জোটের সভাপতি, লেখক ও গবেষক গোলাম কুদ্দুছ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের সভাপতি গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীর। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উজানের সভাপতি সাইফুল ইসলাম।  
ছবি: রাজীন চৌধুরী
প্রতিবারের ধারাবাহিকতায় এবারও ‘উজান পদক’ দিয়েছে সংগঠনটি। এবার ‘উজান পদক ২০১৯’ পেয়েছেন দেশবরেণ্য লোকগানের কবি, সুরস্রষ্টা, পালাকার ও লোকশিল্পী শাহ আলম সরকার। লোকসংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য তাকে এ পদক দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানের আলোচনা পর্বে সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি, লেখক ও গবেষক গোলাম কুদ্দুছ তার বক্তব্যে বলেন, ‘কিছু প্রাণবন্ত তারুণ্যের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে লোকজ ও আঞ্চলিক গানের দল ‘উজান’। এর সদস্যরা অক্লান্ত পরিশ্রম আর অপরিমেয় ভালোবাসায় দেশীয় সংস্কৃতি ও নিজস্ব ঐতিহ্য রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। এটি আমাদের জন্য বড় আনন্দের একটি বার্তা। তাই উজানের জন্য শুভকামনা। তাদের পথচলা সুগম হোক। লোকসংস্কৃতির জয় হোক। ’

ফকির আলমগীর বলেন, ‘সৃজনকর্ম নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ‘উজান’। তাদের এই আয়োজন সফল ও সার্থক হোক। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিবাদন। লোকগান চর্চা ও অন্বেষণের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকুক। আর এ আয়োজনে উজান পদকপ্রাপ্ত শিল্পী শাহ আলম সরকারকে শুভেচ্ছা-অভিনন্দন। ’
‘বাউলমন’র পরিবেশনা।  ছবি: রাজীন চৌধুরী
উজান পদক পেয়ে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে শাহ আলম সরকার বলেন, ‘আমাকে এ পদকে ভূষিত করায় উজান’র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সেই সঙ্গে একটা অনুরোধ, লোকগানের অনুষ্ঠান-উৎসবগুলো যেনো পথে-মাঠে-ঘাটে-রাস্তার ধারে হয়। বাউলরা পথ-ঘাটের মানুষ। খোলা জায়গায় এ ধরনের অনুষ্ঠান হলে ভালো লাগে, মিলনায়তনে নয়। আর আমরা যেনো অপসংস্কৃতি থেকে দূরে থাকি, নিজস্ব সংস্কৃতিকে মনে-প্রাণে লালন করি। সবাইকে ধন্যবাদ। ’

আলোচন পর্ব শেষে শুরু হয় লোক, বাউল, পালা, বিচ্ছেদ ও আঞ্চলিক গানের সমন্বয়ে ‘বাউলমন’র পরিবেশনা। শাহ আলম সরকারের বিখ্যাত গান ‘এত যে নিঠুর বন্ধু জানাছিল না গো’ দিয়ে শুরু হয় এই আয়োজন।
ছবি: রাজীন চৌধুরী
এরপর উজান সদস্যরা একে একে গেয়ে শোনান- ‘সরল মনে’, ‘বলবো না গো আর কোনোদিন’, ‘ভবে নারীর হয় না তুলনা’ প্রভৃতি।

অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন ‘উজান’র সদস্য মাসুদ আহমেদ। এ আয়োজনের মিডিয়া পার্টনার দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন নিউজপোর্টাল বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম।

বাংলাদেশ সময়: ০১২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৯
ওএফবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।