সোমবার (৩০ মার্চ) ব্র্যাক থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
‘প্রিয় দেশবাসী/ আমি আপনাদের সবার প্রিয় শিল্পী মমতাজ বলছি/ দেশে ফেরত বন্ধু যখন/ চৌদ্দ দিন বাইরে না গিয়া/ সবার ভালোর কথা ভাইবা একলা রয়/ ঘরে একলা রয়/ মনটা ভইরা যায়/ ও মনটা ভইরা যায়।
শিল্পী মমতাজের কণ্ঠে এভাবেই ভেসে আসে নভেল করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের ডাক। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং স্বাস্থ্যসম্মতভাবে হাত ধোয়া এবং নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস ও হাঁচি-কাশি দেওয়ার নিয়মগুলো সুরে সুরে তুলে ধরেছেন এ গানে।
ব্র্যাকের উদ্যোগের সঙ্গে একাত্ম হয়ে পল্লী সঙ্গীতের রানী রূপে খ্যাত এই শিল্পী যোগ দিয়েছেন সুর ও কথার গাঁথুনিতে গণমানুষকে সচেতন করে তোলার কাজে। গানটি উন্মুক্ত করা হবে মঙ্গলবার (৩১শে মার্চ)।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গানটির কথাগুলো বসানো হয়েছে মমতাজের ইতিমধ্যে বহুলপ্রচারিত ও অত্যন্ত জনপ্রিয় ‘বুকটা ফাইট্যা যায়’ শীর্ষক গানটির সুরের ওপর।
ব্র্যাকের কর্মকর্তারা আশা করছেন গানটি মূল গানের মতোই জনমনে ব্যাপক সাড়া ফেলতে সক্ষম হবে এবং করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে মানুষের মধ্যে সঠিক আচরণগুলো গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।
কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ব্র্যাক পরিচালিত ব্যাপক জনসচেতনতামূলক প্রচারণা কার্যক্রমে ইতিমধ্যে যুক্ত হয়েছেন প্রখ্যাত শিল্পী কুদ্দুস বয়াতী। তার গাওয়া একটি গান উন্মুক্ত হওয়ার পরপরই সামাজিক ও গণযোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। পাশাপাশি গানটি দেশের সব এলাকায় শহর ও গ্রামের পাড়া-মহল্লায় মাইকে করে প্রচার করা হচ্ছে।
গানটিতে কণ্ঠ দেওয়া প্রসঙ্গে মমতাজ বেগম বলেন, বর্তমানে করোনা ভাইরাসকে কেন্দ্র করে যে জাতীয় সংকট সৃষ্টি হয়েছে তা মোকাবিলায় এগিয়ে আসা আমাদের কর্তব্য। সাধারণ মানুষকে সম্ভাব্য সব উপায়ে সাহায্য করা আমাদের দায়িত্ব।
ব্র্যাক ও ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের কমিউনিকেশনস অ্যান্ড আউটরিচ বিষয়ক পরিচালক মৌটুসী কবীর এ প্রসঙ্গে বলেন, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া এই মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হলো ব্যাপক জনসচেতনতা এবং আমাদের দৈনন্দিন অভ্যাস ও আচরণের পরিবর্তন। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারকে সক্রিয় সহযোগিতা প্রদানের পাশাপাশি ব্র্যাক বিভিন্ন ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার সঙ্গে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করছে। কোভিড-১৯ রোগের লক্ষণসংক্রান্ত নানা ধরনের গুজব গ্রামে-গঞ্জে বৃদ্ধি পাচ্ছে যার ফলে জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও বক্ষব্যাধির রোগীরা চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন যা মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির কাজে পৃথক একটি ওয়েবপোর্টাল পরিচালনা ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ ও গণযোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে নানা ধরনের তথ্যসম্বলিত উপকরণ প্রকাশ ও প্রচার করে যাচ্ছে ব্র্যাক। এসব বার্তা গ্রামে গঞ্জেও মাইকিং করে প্রচার করা হচ্ছে। পাশাপাশি দেশের ১৬টি কমিউনিটি রেডিও নেটওয়ার্কের মাধ্যমেও নিয়মিত সম্প্রচার করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৫২ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২০
এইচএডি/