শ্রোতাদের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছিল বাংলার লোকশিল্পী রতন কাহারের স্বীকৃতি দেননি বাদশাহ। ‘বড়লোকের বিটি লো’ গানটির গীতিকারের নাম রতন কাহারের পরিবর্তে বাদশাহ উল্লেখ করেছেন ‘বাংলা লোকসংগীত’।
তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বাদশাহ। ঠিক যেভাবে তার সমালোচনা হচ্ছিল, তার অক্ষরে অক্ষরে উত্তর দিয়েছেন তিনি। তিনি জানান, একজন শিল্পী হিসেবে শিল্পীর স্বীকৃতির মূল্য তিনি বোঝেন। তিনি কখনোই আরেকজনের কৃতিত্ব নিজের নামে নেবেন না।
ইনস্টাগ্রামে আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজের বক্তব্য তুলে ধরে বাদশাহ বলেন, গানটি প্রকাশের দু’দিন যেতেই সামাজিক মাধ্যমে আমরা জানতে পারি, গানটিতে আমরা বাংলা লোকসংগীতের যে দু’টি লাইন ব্যবহার করেছি তার রচয়িতা রতন কাহার। আমি ইউটিউবে খুঁজে দেখেছি, এর আগে যারা এই গান গেয়েছেন তারা কেউ রতন কাহারের নাম উল্লেখ করেননি। এরপর শিল্পীদের সংগঠনেও খোঁজ নিয়েছি যেখানে স্বত্বাধিকারের সব তথ্য থাকে, কিন্তু সেসব রেকর্ডেও তার নাম পাইনি। তিনি এই গান রচনা করেছেন কিনা তার প্রমাণ খোঁজার চেষ্টা করেছি।
বাদশাহ জানান, সবখানেই উল্লেখ ছিল এটা বাংলার লোকসংগীত, যার অর্থ তিনি বুঝে নিয়েছিলেন, এর স্বত্বাধিকারী বাংলার সকল মানুষ।
বাদশাহ লেখেন, বহুলোক আমাকে একটা ডকুমেন্টারি দেখায় যেখানে তিনি (রতন কাহার) উল্লেখ করেছেন যে এটা তার লেখা। কিন্তু রেকর্ড অনুযায়ী আমি জানতাম এটা বাংলার লোকসংগীত। আমি নিশ্চিত তিনি বড় একজন শিল্পী।
গানটি সম্পর্কে বাদশাহ বলেন, এটা এত চমৎকার একটি সংগীত যে, আমি চেয়েছি এই গান গোটা বিশ্ব শুনুক। আজ সত্যিই সবাই শুনছে গানটি।
আর্থিকভাবে স্বচ্ছল নন বর্ষীয়ান লোকশিল্পী রতন কাহার। একথা বাদশাহর কানে পৌঁছেছে। তিনি বলেন, লক ডাউন না থাকলে আমি নিজেই তার কাছে এখনই ছুটে যেতাম। কিন্তু ইচ্ছা থাকা সত্তেও আমি এখন যেতে পারছি না। আপনাদের কারও যদি তার সঙ্গে যোগাযোগ থাকে তবে আমার সঙ্গে তাকে যুক্ত করে দেন। আমি শুনেছি তিনি আর্থিকভাবে টানাপোড়েনে আছেন। আমি তাকে সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করতে চাই। আমি আমার বন্ধুদের প্রতিও আহ্বান জানাই, তারা যেন লোকশিল্পীদের পাশে দাঁড়ায়।
‘লোকে বলছে আমি তার স্বত্বাধিকার নিয়ে নিয়েছি, কিন্তু বাস্তবতা সেটা নয়। আমি এর কৃতিত্ব তো সবাইকেই দিয়েছি, তাহলে তার নাম উল্লেখ করতে আমাদের তো কোনো সমস্যাই ছিল না,’ যোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘বড়লোকের বিটি লো’র স্রষ্টাকে ভুলে গেলেন বাদশা
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২০
এমকেআর