শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) বেলা ১২টায় রাজধানীর নিজ বাসায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি জ্বর-শর্দিতে ভুগছিলেন।
মহিউদ্দীন ফারুকের মৃত্যুর তথ্যটি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন পরিচালক সমিতির সাংগঠনিক সচিব কাবিরুল ইসলাম রানা।
তিনি বলেন, ফারুক ভাই বেশ কিছুদিন ধরে করোনার উপসর্গ জ্বর-শর্দিতে ভুগছিলেন। শুক্রবার তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। তার মৃত্যুতে পরিচালক সমিতির পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করছি।
রানা আরো জানান, করোনার উপসর্গ থাকায় রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পক্ষ থেকে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
মহিউদ্দীন ফারুক বসুন্ধরা (১৯৭৭), ডুমুরের ফুল (১৯৭৮), পিতা মাতা সন্তান (১৯৯১), পদ্মা নদীর মাঝি (১৯৯৩), দুখাই (১৯৯৭), মেঘলা আকাশ (২০০১) এবং অবুঝ বউ (২০১০) চলচ্চিত্রের জন্য মোট সাতবার শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশকের পুরস্কার লাভ করেন।
এছাড়া তিনি স্ট্যাম্পফোর্ড ইউনিভার্সিটির ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়ার বিভাগের প্রধান ছিলেন।
মহিউদ্দীন ফারুকের মৃত্যুতে সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এছাড়া তার মৃত্যুতে চলচ্চিত্র অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে বনানী করস্থানে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে। ইতোমধ্যে সেখানে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশে সময়: ১৬৩৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০২০
জেআইএম/এইচএমএস/ওএফবি