বুধবার (১৫ এপ্রিল) রাজধানীর মৌচাক মোড়ে তাকে অর্থদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তবে করোনা প্রকোপে প্রশাসনের এমন দায়িত্বশীলতায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই নায়িকা।
ওইদিন দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা জোনের সহকারি কমিশনার (এসি) শেখ মোহাম্মদ শামীমের সহায়তায় অভিযান চালান ঢাকা জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহনাজ হোসেন ফারিবা। এসময় নির্দেশ ভেঙে বাহিরে বের হওয়ায় তমাকে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে তমা মির্জা বলেন, ‘ওইদিন করোনা নিয়ে একটি টেলিভিশনে প্রচারিত সচেতনতা বিষয়ক এক অনুষ্ঠানের শুট ছিল। শুটিং শেষ হতে হতে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা বাজে। এরপর বাসায় ফেরার পথে মৌচাকে পুলিশ আমার গাড়ি থামায়। তারা জানতে চাইলে, আমি আমার শুটিংয়ের কথা বলি। সঙ্গে এও বলি সন্ধ্যার পর যেহেতু আমি বাহিরে, এটা আমার অপরাধ। আইন অমান্যের শাস্তি বা জরিমানা যা হবে আমি মেনে নেব। কারণ আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে চেনার পর উনারা আমাকে সম্মান দিয়েছেন। গাড়িতে আমি আর আমার ড্রাইভার ছিলাম, সবার মতো আমিও সচেতন। আমার গাড়িতে মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস দুটোই ছিল।
‘ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট জানান, যেহেতু কাজের কারণে আমাকে বের হতে হয়েছে এবং পরিস্থিতির শিকার তাই আপনাকে নূন্যতম একটা জরিমানা করা হবে। তাই তিনি আমাকে ৫০০টাকা জরিমানা করেন। বাসায় ফেরার সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহনাজ হোসেন ফারিবা আমাকে একটা মাস্ক উপাহার দেন। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০২০
ওএফবি