ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

করোনা: ক্ষতিগ্রস্ত সংগীতশিল্পীরা চান আর্থিক প্রণোদনা

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৫ ঘণ্টা, মে ৮, ২০২০
করোনা: ক্ষতিগ্রস্ত সংগীতশিল্পীরা চান আর্থিক প্রণোদনা

বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের ছোবল পড়েছে বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনেও। আর্থিক দৈন্যতায় দিন কাটাচ্ছে অসংখ্য যন্ত্রশিল্পী, কণ্ঠশিল্পী, গীতিকারসহ সংশ্লিষ্ট অনেকে। তাই সেভ দ্যা বাংলাদেশ মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি  (এসবিএমআই) পক্ষ থেকে সংগীতাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সরকারের কাছে আর্থিক প্রণোদনার আবেদন জানানো হয়েছে। 
 

বিষয়টি সরকারের কাছে তুলে ধরতে বৃহস্পতিবার (৭ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয় বলে এসবিএমআই’র পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

প্রণোদনা বক্তারা বলেন, যে মানুষগুলো জীবনভর সকলের আনন্দের খোরাক যুগিয়েছেন এবং ভূমিকা রেখেছে দেশ স্বাধীনের যুদ্ধ জয়ে, তারাই আজ চরম আর্থিক সংকটে।

সারা বিশ্বের বিস্ময় আমাদের বাংলাদেশকে তুলে ধরতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও কর্মসংস্থান যেমন ভূমিকা রেখেছে তেমনি সংগীতাঙ্গনের ভূমিকাও কোন অংশে কম নয়। এই সংগীতাঙ্গনকে বাঁচানো রাষ্ট্রের দায়িত্বের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে।

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কণ্ঠশিল্পী হাসান (আর্ক), কণ্ঠশিল্পী আলম আরা মিনু, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সঙ্গীতপরিচালক ফরিদ আহমেদ, সঙ্গীতপরিচালক রিপন খান, কণ্ঠশিল্পী মিলন মাহমুদ, সেভ দ্যা বাংলাদেশ মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির আহ্বায়ক ও সংগীতার কর্ণধার সেলিম খান, সদস্য সচিব আতিক ডালিম, প্রচার সম্পাদক ও সমন্নয়ক ফারহাতুল জান্নাত এবং বিভিন্ন সুরকার, গীতিকার, যন্ত্রশিল্পী, সাউন্ড ও লাইটের মালিক ও টেকনিশিয়ানবৃন্দ।

এসবিএমআই-এর উপদেষ্টা ও ব্যান্ড তারকা হাসান বলেন, শিল্পীরা সম্মানিত তাই তারা রাস্তায় নেমে তাদের অসহায়ত্বের কথা প্রকাশ করতে পারছেন না। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তারা মুখ বুজেও সহ্য করতে পারছে না। আজকের এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আকুল আবেদন যে সংগীতাঙ্গনকে বাঁচাতে আর্থিক অনুদান দিয়ে আপনি একজন রাষ্ট্রনায়কের পাশাপাশি একজন মমতাময়ী মায়ের মতো ভূমিকা রাখুন।

সংগীত পরিচালক ও এসবিএমআই-এর উপদেষ্টা ফরিদ আহমেদ বলেন, আজ সংগীতাঙ্গনকে বাঁচাতে এগিয়ে না আসলে কাল সংগীতকে পেশা নিতে ভয় পাবে আগামী প্রজন্ম। তাতে কালোগহ্বরে হারিয়ে যাবে বাংলা সংস্কৃতির সংগীত ধারা।

কণ্ঠশিল্পী ও এসবিএমআই-এর উপদেষ্টা মিলন মাহমুদ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি কণ্ঠশিল্পী, সুরকার ও কলাকুশলীদের দুর্যোগ অবস্থায় পাশে থেকে পূর্বে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা আমরা কখনোই ভুলব না। আমরা আশা করি জাতীয় দুর্যোগ এই সময়ে আপনি এসবিএমআই’কে নিরাশ করবেন না।

বাংলাদেশ সময়: ২৩১৫ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০২০
জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।