মুম্বাই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের নির্দেশে গত ৯ সেপ্টেম্বর বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রনৌতের অফিসের একাংশ বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে বৃহন্মুম্বাই পৌরসভা। তবে অফিস সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলার আগেই কঙ্গনার আবেদনে মুম্বাই হাইকোর্ট এই ধ্বংস কার্যক্রম স্থগিত রাখার আদেশ দেন।
বিষয়টি নিয়ে কঙ্গনার আইনজীবী রিজওয়ান সিদ্দিকী অভিযোগ দায়ের করলে, শুনানি হওয়া পর্যন্ত বিএমসিকে ধ্বংস কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন আদালত।
এদিকে অফিস ভাঙার ঘটনায় ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন কঙ্গনা। তাঁর দাবি অফিসের ৪০ শতাংশ ভেঙে দিয়েছে বৃহন্মুম্বাই পৌরসভা। তাই সেজন্য ২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন তিনি।
গত রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) মহারাষ্ট্রের রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভারাক্রান্ত হৃদয়ে মুম্বাই ছেড়ে চলে যাচ্ছেন বলে জানান কঙ্গনা। ফিরে গেছেন নিজের হোমটাউন মানালিতে। তবে সেখানে যেও চুপ থাকেননি ‘মণিকর্ণিকা’ এই অভিনেত্রী। নিজ জন্মস্থানে বসে মুম্বাই অফিসের জন্য ক্ষতিপূরণের দাবি করেন তিনি।
এর আগে, বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ তুলে একদিন আগে পালি হিলে কঙ্গনার মণিকর্ণিকা ফিল্মসের একটি দফতরের বাইরে নোটিস ঝুলিয়ে দেয় বিএমসি। নোটিশে বলা হয়, কঙ্গনার অফিসের রান্নাঘর ও বাথরুম বিনা অনুমতিতেই একস্থান থেকে আরেকস্থানে সরানো ও নির্মাণ করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেই নোটিসের জবাব দিতে বলা হয়েছিল অভিনেত্রীকে। ৯ সেপ্টেম্বর সকালে তার জবাবও দেন কঙ্গনা। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি, এদিন দুপুরেই বুলডোজার নিয়ে অফিস ভাঙার কাজ শুরু করে দেয় বিএমসি। তখন ওই অফিসের বাইরে পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১১১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২০
জেআইএম