কিংবদন্তি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী সুজাতা গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় গত ২৫ নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হন। পড়ে তিনি অনেকটা সুস্থ হওয়ায় তাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার অনুমতি দিয়েছেন চিকিৎসক।
রোববার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন ‘রূপবান’খ্যাত এই নন্দিত অভিনেত্রী। তবে তাকে আরও প্রায় ৩ মাস বিশ্রামে থাকতে হবে।
এ প্রসঙ্গে সুজাতার ছেলে ফয়সাল বাংলানিউজকে বলেন, মা এখন সুস্থ আছেন। সবকিছু স্বাভাবিক। ওনার মাইনর স্ট্রোক হয়েছিল। কিন্তু বয়স বেশি হাওয়ায় প্রেশারটা বেশি পড়েছিল। তাকে এখন চিকিৎসক তিন মাসের বিশ্রামে থাকতে বলেছেন। ভারি কাজ করা একদম নিষেধ। তবে এক মাস পর ওনার আবার চেকআপ করাতে হবে। তখন যদি সব রিপোর্ট ভালো আসে তাহলে তিনি শুটিংসহ অন্যান্য কাজ শুরু করতে পারবেন।
ষাটের দশকে চলচ্চিত্রের অন্যতম জনপ্রিয় নায়িকা সুজাতা। তার ক্যারিয়ারে রয়েছে অসংখ্য সুপারহিট সিনেমা।
১৯৬৫ সালে মুক্তি পাওয়া ‘রূপবান’ চলচ্চিত্রে মাত্র বারো বছর বয়সী নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করে তন্দ্রা মজুমদার নামের এক কিশোরী দর্শকের মন জয় করে নেন। পরিচালক সালাহউদ্দিন এই তন্দ্রা মজুমদারের নাম রাখেন সুজাতা। আজও যিনি ‘রূপবান’ হয়েই আছেন দর্শকের হৃদয়ে। তবে চলচ্চিত্র তার অভিষেক ঘটে ১৯৬৩ সালে সালাউদ্দিন পরিচালিত ‘ধারাপাত’র মাধ্যমে।
১৯৭৮ সাল পর্যন্ত অসংখ্য হিট চলচ্চিত্রের নায়িকা সুজাতা। মাঝে এক যুগেরও বেশি সময় দূরে ছিলেন বড় পর্দা থেকে। তবে ফের প্রাণের টানে ফিরেও এসেছেন অভিনয়ে। নায়িকা হিসেবে সুজাতার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে- ‘রূপবান’, ‘ডাক বাবু’, ‘জরিনা সুন্দরী’, ‘অপরাজেয়’, ‘আগুন নিয়ে খেলা’, ‘কাঞ্চনমালা’, ‘আলিবাবা’, ‘বেঈমান’, ‘অনেক প্রেম অনেক জ্বালা’, ‘প্রতিনিধি’ ইত্যাদি।
১৯৭৭ সালে সুজাতা নায়িকা হিসেবে সর্বশেষ রহিম নেওয়াজ পরিচালিত ‘রাতের কলি’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৮৮ সালে ‘অর্পণ' সিনেমা পরিচালনা করে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন সুজাতা। ছোট পর্দায়ও অভিনয় করতে দেখা যায় তাকে।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে চলচ্চিত্রে অসামান্য অবদানের জন্যে আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০২০
জেআইএম