কিংবদন্তি অভিনেত্রী কবরীর ফুসফুসে শতভাগ সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল। এই সংক্রমণের ফলেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ফারুক আহমেদ।
শনিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে গোসল সম্পন্ন হওয়ার পর হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসায় কবরীর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে কবরীর মৃত্যুর কারণ জানিয়ে অধ্যাপক ফারুক বলেন, তার (কবরী) দুই ফুসফুসেই শতভাগ সংক্রমণ ছিল। এই সংক্রমণের ফলেই তার মৃত্যু হয়েছে। লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় উনি অক্সিজেন মেইন্টেইন করতে পারছিলেন না। আবার গতকাল দুপুরের পর থেকে ওনার ব্লাড প্রেশার ও হার্ট রেটের পরিবর্তন হতে থাকে।
কবরীকে সব রকম বিশেষায়িত চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তারপরও তার উন্নতি হয়নি বলেও জানান এই চিকিৎসক। এরপর শুক্রবার রাত ১২টা ২০ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
এই চিকিৎসক আরও বলেন, ওনাকে হাসপাতালে যখন ভর্তি করা হয় তখন তার ফুসফুসের ৬৪ শতাংশ সংক্রমিত ছিল। আমাদের এখানে ভর্তি করার পর ফুসফুসের শতভাগ সংক্রমণ ধরা পড়ে।
গত ৫ এপ্রিল কবরীর নমুনা পরীক্ষায় করোনা ভাইরাসের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর ওইদিন রাতেই তাকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে স্থানান্তর করা হয়। ৮ এপ্রিল দুপুরে তাকে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়া হয়। ১৫ এপ্রিল নেওয়া হয় লাইফ সাপোর্টে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন নন্দিত এই অভিনেত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০২১
জেআইএম