আবারও আইনি প্যাঁচে পড়লেন বলিউডের ‘কন্ট্রোভার্সি কুইন’ কঙ্গনা রনৌত। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে সামাজিকমাধ্যমে কুরুচিকর, বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দেওয়ার অভিযোগ তুলে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতা।
তৃণমূলের মুখপাত্র ঋজু দত্ত নামে এক ব্যক্তি পশ্চিমবঙ্গের উল্টোডাঙা থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন। বাদির অভিযোগ, কঙ্গনার মতো একজন জনপ্রিয় তারকা যদি বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ান, মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন, তাহলে তার প্রভাব পড়বে জনমানসে। আর তা মোটেই কাম্য নয়। তাই এর সুবিচার চেয়ে থানার দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, তার অভিযোগ গৃহীত হয়েছে এবং সেই অনুযায়ী আইনি পদক্ষেপ নেবে পুলিশ।
বরাবরই লাগামছাড়া মন্তব্য করে বিতর্কের শীর্ষে থাকেন বলিউডের এই শীর্ষ অভিনেত্রী। রাজনৈতিক হোক কিংবা বলিপাড়ার অভ্যন্তরীণ সমস্যা – সবকিছুতেই কঙ্গনা নিজের মতামত ব্যক্ত করেন জনসমক্ষে। কখনও সামাজিকমাধ্যমে, আবার কখনও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে। সম্প্রতি তিনি পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়েও নিজস্ব মতামত প্রকাশ করেছেন। ভোটের ফলপ্রকাশের দিন টুইটারে বাংলাদেশি আর রোহিঙ্গাদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবচেয়ে বড় শক্তি হিসেবে ব্যাখ্যা করেছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, পশ্চিমবঙ্গকে কাশ্মীরের সঙ্গেও তুলনা করে বিতর্কের আগুনে ঘি ঢালেন তিনি।
এখানেই থামেননি কঙ্গনা। বঙ্গের ভোট পরবর্তী হিংসার ছবি তুলে ধরার চেষ্টা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে আবেদন জানান, বিষয়টি নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করতে। এমনকি মমতাকে ভোটে জিতিয়ে ক্ষমতায় আনার জন্য বাংলার ভোটারদেরও তীব্র কটাক্ষ করেন কঙ্গনা। একে সাম্প্রদায়িক উসকানি এবং অশান্তিতে ইন্ধনকারী বলে মনে করে অভিনেত্রীর টুইটার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করে টুইটার কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০২১
এমকেআর