২০১৩ সালের ৩০ মে সবাইকে কাঁদিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ভারতীয় সিনেমার উজ্জ্বল তারা ঋতুপর্ণ ঘোষ। রোববার (৩০ মে) এই প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালকের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী।
ঋতুপর্ণ ঘোষের আকস্মিক মৃত্যুর অভিঘাত প্রিয়জনদের কাছে রয়ে গেছে এখনো। মৃত্যুদিনে তাকে স্মরণ করে স্মৃতিকাতর হয়েছেন টলিউডের বেশ কয়েকজন তারকা শিল্পী।
ফেসবুকে অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় লেখেন, ‘৮ বছর হয়ে গেছে তোর কোনো মেসেজ নেই, বকাঝকা নেই, সাক্ষাৎ হয় না, ঝগড়া হয় না, নতুন নতুন গল্প নিয়ে আলোচনা হয় না। কিন্তু তুই আছিস- আমাদের মনে, আমাদের কথাবার্তায় তুই চির বর্তমান। এই সময়টায় তোর থাকা খুব দরকার ছিল রে। ভালো থাকিস ঋতু। ’
স্মৃতিচারণ করে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত লেখেন, ‘কতদিন হয়ে গেল তোমার সাথে বসে গল্প করি না, দেখাও হয় না …৮ বছর হয়ে গেল তুমি নেই… শুধু তোমার কাজ, তোমার শিক্ষা, তোমার ভালোবাসা, তোমার বকা আর অনেক আশীর্বাদ আছে সঙ্গে! নতুন করে তোমায় মিস করি না, কারণ কোনোদিন ভুলতেই যে পারিনি তোমায়! অনেক প্রণাম, ভালোবাসা আর তোমার প্রিয় ফুলের সুগন্ধ পাঠালাম। ভালো থেকো। ’
ঋতুপর্ণ ঘোষ ১৯৬৩ সালের ৩১ অগাস্ট কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯২ সালে ছোটদের জন্য ‘হিরের আংটি’ সিনেমার মাধ্যমে পথ চলা শুরু হয় তার চলচ্চিত্র জীবনের। আর ১৯৯৪-এ ‘উনিশে এপ্রিল’ দ্বিতীয় সিনেমাতেই পান জাতীয় পুরস্কার। ১৯৯৪ থেকে ২০১৩, মাত্র ১৯ বছরের মধ্যেই ঋতুপর্ণ ঘোষ নির্মাণ করেছেন ১৯টি ছায়াছবি। প্রত্যেকটি ছবিই সাফল্য অর্জন করেছে। ১৯টি চলচ্চিত্রের মধ্যে ১২টি জাতীয় পুরস্কার জয় করেছে। সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন, ঋত্বিক ঘটক পরবর্তী বাংলা সিনেমার নতুন এক ধারা তৈরি করেছিলেন ঋতুপর্ণ ঘোষ।
খ্যাতিমান এই শিল্পীর শেষ চলচ্চিত্র ‘চিত্রাঙ্গদা’। খ্যাতিমান এই পরিচালক চলচ্চিত্রপ্রেমীদের উপহার দিয়েছেন ‘দহন’, ‘উৎসব’, ‘চোখের বালি’, ‘দোসর’, ‘রেইনকোট’, ‘শুভ মহরত’, ‘সব চরিত্র কাল্পনিক’, ‘নৌকাডুবি’র মতো দর্শকপ্রিয় সিনেমা। এছাড়াও তিনি কয়েকটি সিনেমাতে নিজেও অভিনয় করেছেন। শুধু চলচ্চিত্র পরিচালনার গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ ছিলেন না, দুটি বহুল প্রচলিত বাংলা ম্যাগাজিনের সম্পাদক হিসেবেও দাপটে কাজ করেছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২১
জেআইএম