ঢাকা: শারদীয় দুর্গোৎসবের বিশেষ নাটক ‘সিঁদুর’ প্রচার করবে একুশে টেলিভিশন। নাটকটির কাহিনী, সংলাপ ও চিত্রনাট্য রচনা এবং পরিচালনা করেছেন শৌর্য দীপ্ত সূর্য।
শৌর্য দীপ্ত সূর্য জানান, গত ২ ও ৩ অক্টোবর ‘সিঁদুর’ নাটকের শুটিং শেষ হয়েছে ৩০০ ফুট শুভ টেলিফিল্ম শুটিং হাউসসহ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে। দুর্গাপূজার মহানবমীর দিন আগামী ১৪ অক্টোবর নাটকটি প্রচারিত হবে টেলিভিশনে।
কাহিনী সংক্ষেপ: প্রমোদ মহাজন ব্যবসায়ী। দুই ছেলে তার পুলক আর অলোক। পুলক বাবার দোকানে বসে। বেখেয়াল মদ্যপ ও নারী আসক্ত। মাঝে মধ্যে নিরুদ্দেশ হওয়া তার স্বভাব। অলোকের পড়াশোনা প্রায় শেষভাগে। পাশের গ্রামের মেয়ে কাজলের সঙ্গে প্রেম অলোকের। বিয়ের জন্য কাজল তাড়া দেয় অলোককে। অলোক কিছুদিন সময় নেয়। কাজলের তাড়া দেওয়ার পেছনে যুক্তিও থাকে। কারণ, ওর বাবা মা কেউ নেই। মামার বাড়িতে আছে। লোভী মামা মধ্যপ্রাচ্যে গৃহকর্মী হিসেবে চাকরির নাম করে আসলে কাজলকে বিক্রি করেই দেয়ার পাঁয়তারা করে। আন্দাজ করতে পেরে কাজল রাতে পালিয়ে আসে প্রমোদ মহাজনের বাড়িতে। প্রমোদ মহাজনকে সবকিছু খুলে বলার পর প্রমোদ মহাজন বলেন, তার ছেলের সঙ্গেই সে আজ রাতেই কাজলের বিয়ে দেবে। গভীর রাতে পুরোহিত ডেকে বিয়েটা হয়ে যায়। শুভদৃষ্টির সময় প্রথম কাজল বুঝতে পারে যে প্রমোদ মহাজনের অলোক ছাড়াও আরো একজন ছেলে আছে। অলোকের বড়ভাই পুলকের সঙ্গেই কাজলের বিয়ে হয়ে যায়। সে সময়টাতে অলোক ঢাকাতেই ছিলো।
একদিন রাতে কাজলের স্বামী পুলক বাড়ি না ফেরায় কাজল সারারাত জেগে থাকে। দেবর অলোক বলে, তার স্বামীর বাড়িতে না ফেরার কথা। গল্পটা আসলে এখান থেকে শুরু হয়। পুলককে পাওয়া যায় না কয়েকদিন। পুলকের বাবা প্রমোদ মহাজনের তিন লাখ টাকা নিয়ে সে চলে যাওয়ায় প্রমোদ ভাবেন যে, এই টাকাটা ফুর্তি করে না উড়ানো পর্যন্ত পুলক বাড়ি ফিরবে না। তবে একদিন দুর্ভাগ্যক্রমে অলোক তার বড় ভাইয়ের হদিশ পায় ঢাকার আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামে। যেখানে পুলকের মরদেহ বেওয়ারিশ হিসাবে দাফন করা হয়েছে।
বড় ভাইয়ের পরনের জামাকাপড় নিয়ে বাড়িতে আসার পর অলোক দেখে যে, তার বৌদি ঘরের পূজা করার সময় ভগবানের কাছে কান্নাকাটি করছে তার শাখা সিঁদুর যেন কেড়ে না নেওয়া হয়।
অলোক কি করবে? সে কি তার ভাইয়ের মৃত্যু সংবাদ বৌদিকে দেবে নাকি তার সিঁথির সিঁদুর মুছে দিয়ে আবার পরাবে? এমনি একটা জটিল সমীকরণের সমাধান মেলে গল্পের শেষ ভাগে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০২১
এনটি