ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

মেহজাবীনের স্বপ্ন ‘জেমসের মেয়ের স্বীকৃতি’

বিনোদন ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২১
মেহজাবীনের স্বপ্ন ‘জেমসের মেয়ের স্বীকৃতি’ জেমসের সঙ্গে আফসারা মেহজাবীন

ব্যান্ড তারকা জেমসের ভক্তদের সামাজিক মাধ্যমের একটি গ্রুপ ‘দুষ্টু ছেলের দল’। সেই গ্রুপের এক পোস্টে দেখা গেল জেমসের পাশে দাঁড়িয়ে কান্না করছেন একটি মেয়ে।

ছবিটি ঘিরে সবার মধ্যে রহস্য তৈরি হয়, কেন মেয়েটি কাঁদছে কেন? 

জানা যায়, এই কিশোরীর নাম আফসারা মেহজাবীন। বাসা মালিবাগ। সে এসএসসি পরীক্ষার্থী। বেশ কয়েক বছর আগে তার বাবা মারা গেছেন। তিনিও জেমসের ভক্ত ছিলেন। তার মাও ব্যান্ড সংগীতের ভক্ত।  

জেমসের সঙ্গে মেহজাবীন ছবিগুলো তুলতে চাননি। দূর থেকে তার মা ছবিগুলো তুলে রাখেন বলে জানা যায়। মেহজাবীনের মা জেমসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সমর্থ হন। জেমস তার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন ও মেহজাবীন আফসারার সঙ্গে দেখা করতে রাজি হন।  

এ বিষয়টি তুলে ধরেন রনি আনাম নামের এক তরুণ। যিনি ব্যান্ড সঙ্গীতের একটি ফেসবুক পেইজ নিয়ন্ত্রণ করেন। তিনি জানান, মেহজাবীন তার বাবা মারা যাওয়ার পরে থেকে জেমসকে তার বাবার চোখে দেখেন, বাবা বলেও ডাকে। গেল ২৪ অক্টোবর জেমসের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় কেঁদে ফেলেন। মেহজাবীনের একটা স্বপ্ন, জেমস যেনো তাকে মেয়ের স্বীকৃতি দেন।  

মেহজাবীনের কাঁধে হাত দিয়ে জেমস বলেছেন, ‘মা ঠিক মতো লেখাপড়া করবি’। এসময় জেমসের পা ছুয়ে সালামও করেন মেহজাবীন। এরপর মাথায় হাত দিয়ে কাছেও টেনে নিয়েছিলেন।  

রনি জানান, মেহজাবীন আরও একটা ইচ্ছার কথা প্রকাশ করেন। তার সেই ইচ্ছেটি হচ্ছে- জেমসের আগে যেন তার মৃত্যু হয়। আর মৃত্যুর আগে জেমসের কাছে তার সব মনের কথা বলে যেতে চান।  

রনি আরও জানান, একটি স্টুডিওতে মেহজাবীনের সঙ্গে জেমসের দেখা হয়। তবে স্টুডিওর নাম উল্লেখ করেননি। সেখানে মালিবাগের বাসার থেকে মেহজাবীন ও তার মা এসে আগে থেকেই অপেক্ষা করছিলেন। জেমস সামনে আসতেই নাকি মেহজাবীন থরথর করে কাঁপছিল। কারণ জেমসকে এতো কাছ থেকে দেখবে ভাবতেও পারেনি। এরপর তাদের দু’জনের মাঝে নানা বিষয়ে কথাবার্তা হয়।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২১
এনএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।