ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

‘নিয়ম তো সবার জন্য এক মামা’, ঋতুপর্ণাকে খোঁচা শ্রীলেখার!

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩১ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২২
‘নিয়ম তো সবার জন্য এক মামা’, ঋতুপর্ণাকে খোঁচা শ্রীলেখার!

কলকাতা: শুটিংয়ের কাজে আমেদাবাদে যাওয়ার কথা ছিল পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দেরিতে বিমানবন্দরে পৌঁছানোয় বিমানে উঠতে দেওয়া হয়নি তাকে।

 

টানা ৪০ মিনিট অনুরোধ, কান্নাকাটি করেও কোনো লাভ হয়নি অভিনেত্রীর। মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) বিষয়টি সামাজিকমাধ্যমে নিজেই জানিয়েছেন ঋতুপর্ণা। সেখানে ঘটনার বিবরণ দিয়ে, নীতিবোধ নিয়ে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন ওই বিমান সংস্থাকে!

বিমানবন্দরের সেই ঘটনা নিয়ে পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রও। তাতেই সরগরম ফের নেটদুনিয়া। যদিও পোস্টে শ্রীলেখা সরাসরি ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের নাম নেননি। তবে শ্রীলেখার লেখা দেখে কারও বুঝতে বাকি থাকেনি যে তার নিশানায় ঋতুপর্ণা ছাড়া আর কেউ নন।  

শ্রীলেখা লেখেন, ‘ট্রেন হোক বা প্লেন, নিয়ম তো সবার জন্য এক মামা। ’ শ্রীলেখা অবশ্য এও জানান যে, আমার এই পোস্ট কাউকে উদ্দেশ্য করে নয়। একবার আমার সঙ্গেও এমনটা হয়েছিল। নির্দিষ্ট সময়ে বিমানবন্দরে পৌঁছেও বোর্ডিং গেট থেকে দূরে থাকায় পৌঁছতে পারিনি। আমাকে ছাড়াই বিমান উড়ে গিয়েছিল। কই তখন তো আমি কোনও পোস্ট করিনি। আমার মাথাতেও আসেনি।  

শ্রীলেখা মিত্রের এমন পোস্টে সায় দিয়েছেন কেউ কেউ।

ঠিক কী ঘটেছিল ঋতুপর্ণার সঙ্গে? অভিনেত্রীর পোস্টে জানা যায়, বিমানবন্দরে বোর্ডিংয়ের সময় ছিল মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) ভোর ৪টা ৫৫ মিনিটে। কিন্তু ঋতুপর্ণা পৌঁছান ৫ টা ১০/১২ মিনিটে। এরপরেই ঋতুপর্ণাকে জানিয়ে দেওয়া হয়, অনেক আগেই বোর্ডিং গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরপর ৪০ মিনিট সেখানকার দায়িত্বরত কর্মীদের অনুরোধ করেন ঋতুপর্ণা। এক পর্যায়ে কথা কাটাকাটিও হয় এবং কেঁদে ফেলেন এই অভিনেত্রী। কিন্তু বিমান থেকে প্রায় ৫০ পা দূরে থাকার পরও তাকে আর উঠতে দেওয়া হয়নি।

ঋতুপর্ণা স্ট্যাটাসে জানান, মঙ্গলবার আমেদাবাদে শুটিংয়ের শিডিউল দেওয়া ছিল। তিনি না গেলে প্রযোজনা সংস্থার আর্থিক ক্ষতি হবে। ঋতুপর্ণা প্রশ্ন করে লেখেন, প্রযোজককে কী জবাব দেব আমি? আমার কথার-ই বা কী দাম রইলো? একটা দিন আমার নষ্ট হলো, এর দায়টা কে নেবে? ক্ষতিপূরণই বা কে দেবে? তার দাবি, চাইলে বিমানবন্দরের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হোক, কতক্ষণ দেড়িতে পৌঁছেছেন। শুধু তাই নয়, এর পরিপ্রেক্ষিতে যাতে পদক্ষেপ নেওয়া হয় সেজন্যও কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং ইন্ডিগো বিমান সংস্থার কাছেও দাবি জানান এই অভিনেত্রী।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২২
ভিএস/জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।