না ফেরার দেশে চলে গেলেন ভারতের কিংবদন্তি সন্তুরবাদক পণ্ডিত শিবকুমার শর্মা (৮৪)। মঙ্গলবার (১০ মে) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি।
জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চলের একটি জনপ্রিয় বাদ্যযন্ত্র সন্তুর যা পণ্ডিত শিবকুমার শর্মার হাত ধরে বিশ্বজুড়ে দারুণ পরিচিতি পায়।
পণ্ডিত শিবকুমার শর্মার মৃত্যুতে টুইটারে শোকপ্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শিবকুমার শর্মার জন্ম ১৯৩৮ সালের ১৩ জানুয়ারি জম্মুতে। তার বাবা উমা দত্ত শর্মা ছিলেন প্রথিতযশা সংগীতশিল্পী। মাত্র ৫ বছর বয়সেই শিবকুমার শর্মা বাবার কাছে সঙ্গীত ও তবলার তালিম নেওয়া শুরু করেন। উমা দত্ত শর্মা সন্তুর নিয়ে অনেক গবেষণা করেন এবং সিদ্ধান্ত নেন যে, তার ছেলেকে তিনি ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের সন্তুরবাদক হিসেবে গড়ে তুলবেন। এই চিন্তা থেকেই শিবকুমার শর্মাকে তেরো বছর বয়স থেকে সন্তুর প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেন তিনি।
১৯৫৫ সালে বম্বেতে শিবকুমার শর্মা জীবনে প্রথমবারের মতো জনসম্মুখে সন্তুর বাজান। সেই যে শুরু, তারপর ক্রমে ইতিহাস রচিত হতে থাকল।
তিনি ১৯৮৬ সালে সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার, ১৯৯১ সালে পদ্মশ্রী এবং ২০০১ সালে পদ্মবিভূষণ পুরস্কারে ভূষিত হন। ১৯৮৫ সালে পণ্ডিত শিবকুমার শর্মাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরের সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছিল।
কিংবদন্তি বাঁশি বাদক হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়ার সঙ্গে তার জুটি ছিল খুবই জনপ্রিয়। এই জুটি পরিচিত ছিল ‘শিব-হরি’ নামে। ১৯৬৭ সালে তুফান অ্যালবাম ‘কল অব দ্য ভ্যালি’ ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। তিনি পণ্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া এবং গিটার বাদক ব্রিজভূষণ কাবরার সঙ্গে মিলে এই অ্যালবামে কাজ করেছিলেন।
শিবকুমার শর্মা মৃত্যুকালে স্ত্রী মনোরমা ও ছেলে রাহুল শর্মাকে রেখে গেছেন। রাহুল শর্মাও একজন সন্তুরবাদক।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২২
জেআইএম